প্রথমে কানের দুলসহ সবকিছু ছিনতাই, পরে মেয়েটি সুন্দর আছে বলেই তুলে নিয়ে ধর্ষণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:৩৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার হওয়া গৃহবধু আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। প্রায় দু-ঘন্টাব্যাপী আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে দুপুরে আক্রান্ত গৃহবধূকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে দেড়টার দিকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনি ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় তারা এমসি কলেজ গেটের সামনে ফুচকা খান। এরপর এমসি কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। বেড়ানোর পর প্রাইভেট কার যোগে নবদম্পতি পেছনের দিকে যান। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক তাদের গতিরোধ করে। প্রথমে তারা কানের দুলসহ সঙ্গে থাকা সব ছিনিয়ে নেয়। এরপর কেউজন বলে উঠে মেয়েটি সুন্দর আছে তাকে তুলে নাও। এরপর পরই তারা কয়েকজন মিলে হোষ্টেলের ভেতর নিয়ে যায়। তারা তার স্বামীকে বেধে রেখে সংঘবদ্ধভাবে তার উপর নির্যাতন চালায়। এ সময় আদালতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই গৃহবধূ।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার বিকেলে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। ছাত্রলীগের ৫/৬ জন নেতাকর্মীকে তাদের ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে আসে। সেখানে দুজনকেই মারধর করে তারা। পরে স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনেই স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার গৃহবধু বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় শনিবার ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ধর্ষিতার স্বামী। পুলিশ রোববার সকালে সুনামগঞ্জ থেকে সাইফুর রহমান ও হবিগঞ্জ থেকে অর্জুন লস্কর নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে।