সিলেটে শরীরে পেট্রল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যা : স্কুল শিক্ষক কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:২৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
অগ্নিদগ্ধ হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের কম্পিউটার ডেটা অপারেটর লাকি রানী পালের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন তার স্বামী দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিমাদ্রি পাল। বুধবার সিলেটের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমানের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সেনগ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে ৯ আগস্ট রাতে লাকিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে পরদিন মারা যান তিনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন এ ঘটনাকে রান্না করতে গিয়ে কুপির আগুনে দগ্ধ বলে প্রচার করলেও ১৭ আগস্ট লাকির ছোট বোন প্রিয়াঙ্কা পাল সিলেটের মোগলাবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় লাকির স্বামী হিমাদ্রি পাল, দেবর হিমেল পাল, শ্বশুর হলধর চন্দ্র পাল ও শাশুড়ি শিখা রানী পালকে আসামি করা হয়। অপরদিকে লাকির শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, দুর্ঘটনাবশত আগুনে মৃত্যুর পর লাকির বোন প্রিয়াঙ্কা পালের দাবি করা ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় একটি দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, লাকিকে তার স্বামী হিমাদ্রি পাল বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেছিলেন। এই টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ৯ আগস্ট রাতে রান্নাঘরে নিয়ে লাকির শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া হয়। পরে ঘটনাটিকে রান্না করতে গিয়ে কুপির আগুনে দগ্ধ বলে প্রচার করা হয়। এদিকে, ৬ সেপ্টেম্বর লাকির শ্বশুরবাড়ির লোকজন সংবাদ সম্মেলন করে লাকির মৃত্যু নিছক একটি দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন। তবে ১০ সেপ্টেম্বর পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়াঙ্কা জানান, লাকির শ্বশুরবাড়ির লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।