হাফেজ কামরুলের প্রেম-বিয়ে অতঃপর..
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৯:২১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
বড়লেখায় হাফেজ কামরুল ইসলামের প্রেম, বিয়ে, অতঃপর যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, তালাকের পর ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ঘরে তোলে পুনরায় যৌতুক দাবীতে মারধর ও পরবর্তীতে অন্য মেয়েকে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এব্যাপারে নির্যাতিতা সুকি বেগম যৌতুক লোভী স্বামী হাফেজ কামরুলের বিরুদ্ধে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট আদালতে মামলা (নং-১৫০/২০২০) করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের মেয়ে সুকি বেগমকে একি গ্রামের ইকবাল হোসেন দুদু মিয়ার ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২০১৬ সালের ২৭ ইসলামি সরিয়ত মোতাবেক ৩ লাখ ১শত এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। এরপর স্বামী কামরুল ইসলাম বিভিন্ন অজুহাতে সুকি বেগমকে দিয়ে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। এক পর্যায়ে সুকি বেগম বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে কামরুল ইসলাম তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। দাম্পত্য কলহের জেরে কামরুল স্ত্রীকে তালাক দেন। ২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কামরুল ইসলাম নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে স্ত্রী সুকি বেগমকে ঘরে তুলেন। এর কয়েক মাস পর ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করলে সুকি বেগম অপারগতা প্রকাশ করায় তার ওপর আমানসিক নির্যাতন চালায় কামরুল।
সুকি বেগম জানান, বিয়ের এক বছর পর কামরুল তাকে তালাক দেন। বাবার বাড়ি চলে গেলে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে তিনি পুনরায় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেন। হাফিজা ইসলাম নামে তাদের ১০ মাসের একটি মেয়ে রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে যৌতুকের জন্য পুনরায় নির্যাতন শুরু করেন। খবর পেয়ে আমার মা দেখতে আসলে তাকে অশ্লীল গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা চালিয়ে আমাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। তার এমন আচরণে পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা লগাটি জামে মসজিদের ইমামতি থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। স্থানীয় লোকজন জানান, স্ত্রী ও বাচ্চার খোঁজ খবর ও তাদের ভরণপোষন না দিয়ে আরেকটি বিয়ে করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাফেজ কামরুল ইসলাম জানান, মামলা যখন হয়েছে এখন আইনে যা হয় তাই হবে।