সিলেটে লাগছে ৫০ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার, কমবে গ্রাহকের ব্যয়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেটে প্রথমবারের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের। ১১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে আরও ৫০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার দেবে সরকার। এর ফলে প্রতিটি আবাসিক গ্রাহকের মাসিক গড় গ্যাস ব্যবহার ৬৬ ঘনমিটার থেকে ৪০ ঘনমিটারে নেমে আসবে। গ্রাহকপ্রতি গ্যাস সাশ্রয় হবে গড়ে ২৬ ঘনমিটার। গ্যাস বিতরণ লাইন লিকেজজনিত অপচয়ও রোধ হবে।
বর্তমানে প্রতি মাসে গ্রাহকদের গ্যাস বিল দিতে হয় ৯৭৫ টাকা। প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে অল্প টাকায় মাস চালিয়ে নিতে পারবেন। প্রতি গ্রাহকের সাশ্রয় হবে ৫০০ থেকে ৬৭৫ টাকা। এমনটি জানিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল)।
জেজিটিডিএসএল অধিভূক্ত এলাকায় ৫০ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি সময় থেকে ২০২২ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জেজিটিডিএসএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী সৈয়দ ফজলুল হক বলেন, “সিলেট শহরে প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে। এর ফলে একদিকে গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে, অন্যদিকে গ্রাহকের প্রতি মাসের খরচও কমবে। গ্যাসের জন্য এখন প্রতি মাসে গ্রাহকের খরচ ৯৭৫ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে গ্রাহক ৩০০ টাকায়ও মাস চালিয়ে নিতে পারবেন। সিলেটে এমন উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হচ্ছে। ”
জালালাবাদ গ্যাস অধিভূক্ত এলাকার গৃহস্থালী পর্যায়ে ব্যবহৃত গ্যাসের অপচয় রোধ এবং গ্যাসের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করা হবে। গৃহস্থালী পর্যায়ে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে গ্যাস ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মনিটরিং ব্যয় কমবে।
জেজিটিডিএসএল সূত্র জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্যাসের কার্যকর সরবরাহ ও ব্যবহারের মাধ্যমে গ্যাসের অপচয় রোধ করা যাবে। সাশ্রয়কৃত গ্যাস নতুন নতুন শিল্প কারখানায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। প্রকল্পের আওতায় ডাটা সেন্টার ও ডাটা রিকোভারি সেন্টার এবং প্রয়োজনীয় ওয়েব সিস্টেম হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করবে সরকার।
মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের অভ্যন্তরীণ জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) লাইনে লিকেজজনিত কারণে প্রচুরে পরিমাণ গ্যাস অপচয় হয়। অনেক গ্রাহক সচেতন নয়, এমনকি বিষয়টি কোম্পানিকেও অবহিত করে না। গ্রাহক মনে করেন, গ্যাস যতোই অপচয় হোক না কেন ৯৭৫ টাকার বেশি দিতে হতে হয় না।
জালালাবাদ গ্যাস অধিভূক্ত এলাকার গৃহস্থালী পর্যায়ে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হলে জিআই লাইনের লিকেজজনিত গ্যাসের ব্যয় গ্রাহককেই বহন করতে হবে। ফলে লিকেজ বন্ধ করার জন্য তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অবহিত করবেন। গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।