কমলগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যার চেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৫:২৩ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ভাদাইরদেউল লাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার উপরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফয়েজ আহমদ (২৭)কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ভাদাইরদেউল গ্রামের টনু মিয়ার পুত্র আনু মিয়া (৪০) এর জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরন করার নির্দেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের ৩নং আমল গ্রহণকারী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় শুনানী শেষে মৌলভীবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ আলী আহসান এর আদালত এ আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ১৯ আগষ্ট রাত ১০টায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনায় রজনপুর গ্রামের গুরুতর আহত ফয়েজ আহমদ বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর কমলগঞ্জ থানায় একই এলাকার সুলতান মাহমুদ রফিক (৫৫), আনু মিয়া (৪০), আলিক মিয়া (৩০), মামুন মিয়া (৩০), স্বপন মিয়া (৩২), নাছিম মিয়া (২৮)সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জনকে আসামী করে মামলা (নং-০৪/ তারিখঃ ০৩/০৯/২০২০ইং) দায়ের করেন।
এ বিষয় আলীকের সাথে ০১৭১৮৫৪৬৮৮৫ নং মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ও নাছিম মিয়া সাথে একাধিকবার ০১৭১৮০২১১১৫ নং মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এই মামলার আসামিগণ পরস্পর একে অপরের আতœীয় হয় এবং অত্র মামলার ১ নং আসামীর কেয়ারটেকার হচ্ছেন ৩ নং আসামী বিবাদীর ফয়েজ আহমেদ বিভিন্ন ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য রয়েছে।
ঘটনার তারিখ ১৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় শমশেরনগর বাজার থেকে ভাদাইরদেউলস্থ ভাড়াটিয়া বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর মামলার ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬নং আসামী অজ্ঞাতনামা আসামিগণ পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দা লাঠি কাঠের রল রড ডেগার দিয়ে হত্যা করা চেষ্টা কওে এবং ছুরি দিয়ে পেটের ভেতর আঘাত করলে ফয়েজ আহমেদ মাটিতে লুটে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার সদও হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ফয়েজ আহমেদ এর শারীরিক অবস্থা গুরুতর দেখিয়া তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ২৭ দিন পরে তাকে বাড়িতে এনে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়।