তাহিরপুরে দোকান ও বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে টাকা লুটপাট ও হামলায় ৩জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাদাঘাট (উ.) ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন মুজিবুর রহমান (৫৭), তার ছেলে রেজুয়ান মিয়া (২৪) ও রেজুয়ানের চাচী কুলসুমা খাতুন (৩৬)।
আহতদের মধ্যে মজিবুর ও কুলসুমাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে গুরুতর আহত রেজুয়ানকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মজিবুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতে রহমতপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন (৪৫), তার ভাই তৌফিক মিয়া (৪০), কামরুল ইসলাম (৩৮), এস ভি জামান (৩৬), আল আমিন (৩২)সহ ১৪ জনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রহমতপুর গ্রামের জামে মসজিদের ঈমামকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মুজিবুর রহমানের পরিবারের সঙ্গে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল।
শনিবার বিকেলে মুজিবুরের বাড়ির সামনের একটি বন্ধকী জমি নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আবার কথা কাটাকাটি হয়।
পরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুজিবুরের বাড়িতে হামলা করে।
হামলায় মুজিবুরের বাড়ির সামনে থাকা তার মুদি দোকান ঘর ভাংচুর এবং লুটপাট করে
দোকানে থাকা প্রায় ৭০ হাজার টাকার মালামালসহ নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে রহমতপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে দোকান মালিক মুজিবুর, তার ছেলে রেজুয়ান ও কুলসুমা খাতুনকে মারধর করে আহত করে।
এ ব্যাপারে মুজিবুরের ছেলে তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে আমার বাড়ির সামনের মসজিদের ঈমামকে কেন্দ্র করে গত ঈদে বিরোধ হয়েছিল। আর এর জের ধরে গতকাল ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও তার আত্মীয় স্বজনদের সাথে নিয়ে নিয়ে আমার দোকান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আর হামলায় আমার ভাই, ভাতিজা ও ভাবীকে মারপিট করে আহত করে এবং আমাকেও প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে সে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার চাই।
তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।