মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের ফটক থেকে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
দেশের অন্যতম পিকনিক স্পট মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের প্রধান ফটক থেকে শত শত পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন।
দেশের অন্যতম পিকনিক স্পট মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের প্রধান ফটক থেকে শত শত পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে গিয়ে কাছাকাছি পৌঁছেও পর্যটন এলাকার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে না পেরে অনেকেই বনবিভাগের কর্মচারী, পর্যটন পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। ক্ষুব্ধ পর্যটকের সাথে ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। গত ১৭ মার্চ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য বনবিভাগ এ পর্যটন স্পটটি বন্ধ ঘোষণা করে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবধরনের জনসমাগম রোধে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক।
সরেজমিন মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের প্রধান ফটকের সম্মুখে কয়েকশ’ পর্যটককে ভিড় করতে দেখা গেছে। ফটক বন্ধ থাকায় তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। আগত পর্যটকদের সামাল দিতে বনবিভাগের কর্মচারী ও পর্যটক পুলিশকে হিমসিম ক্ষেতে হচ্ছে। অনেক পর্যটক বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে ফটক অতিক্রম করার জন্য মারমুখী আচরণ শুরু করায় ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে টাকার বিনিময়ে পর্যটকদের পাহাড়ি পথে জলপ্রপাতে নিয়ে যায়। এক্ষেত্রে নির্জন স্থানে অনেকেই শ্লীলতাহানির শিকার, টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়েছেন। হবিগঞ্জ থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে কৌশিক পাল, রুবি পাল, অঞ্জনা পালসহ কয়েকজন প্রধান গেটে আটকা পড়েন। স্থানীয় এক ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে ভেতরে প্রবেশ করে সৌন্দর্য উপভোগ করেন। আগত পর্যটকরা জানান, দেশের সব বিনোদন কেন্দ্র ইতোমধ্যে খুলে দেয়া হয়েছে। মাধবকুণ্ড পিকনিক স্পট এখনও বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি তারা খোঁজে পাচ্ছেন না।
বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত ১৭ মার্চ মাধকুণ্ড ইকোপার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক খুলে দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন। প্রতিদিন ২-৩শ’ পর্যটক মাধবকুণ্ডে ভিড় করছেন। তাদের সামাল দিতে বনবিভাগ ও পর্যটন পুলিশকে হিমসিম খেতে হচ্ছে।