বড়লেখায় চুরি যাওয়া কম্পিউটার ও ফোন উদ্ধার, ৫ চোর গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:৪৬ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দোকানের তালা ভেঙে চুরি হওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচ চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রমের শফিক উদ্দিনের ছেলে জহির আহমদ (২১), ওই এলাকার আব্দুল খালিকের ছেলে সুজন আহমদ (২২), বড়লেখার তালিমপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হালিমুর রশীদ হালিম (২০), জফরপুর গ্রামের মৃত মনির আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০) ও নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামের মৃত মখদ্দছ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২)।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের মার্কেটের ব্যবসায়ী আশীষ চন্দ্র নাথের অন্নপূর্ণা এন্ড আঁখি ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটারের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা দোকানের তালা ভেঙে প্রবেশে করে একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও ক্যাশবক্স ভেঙে নগদ ৪ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়।
পরদিন মঙ্গলবার(১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে স্থানীয়রা দোকান মালিক আশীষ চন্দ্র নাথকে জানান তার দোকানের শার্টার খোলা। তিনি দোকানে এসে দেখেন তার দোকানের তালা ভাঙা ও শার্টার খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন দোকানের একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও ক্যাশবক্স থাকা নগদ টাকা ৪ হাজার ৮০০ টাকা নেই। এই ঘটনায় তিনি ওইদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক সুব্রত কুমার দাস ও এএসআই কামাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চুরির সঙ্গে জড়িত হালিমুর রশীদ হালিমকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে জহির আহমদ, সুজন আহমদ ও শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে চুরি হওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন চান্দগ্রাম বাজারের আরিয়ান টেলিকম থেকে উদ্ধার এবং দোকান মালিক সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক সুব্রত কুমার দাস শুক্রবার রাতে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে পরে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার চুরির কথা স্বীকার করে হালিমুর রশীদ হালিম ও জহির আহমদ আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।