মৌলভীবাজারে মাল্টা চাষে ঝুকছেন চাষীরা, ফলনও হচ্ছে ভালো
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৫:৪০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামের মাহাবুবুল আলম শখের বশে বারি-১ জাতের ৬০টি মাল্টা চারা রোপন করেন নিজের বাগানে । এখন সেই গাছগুলো মাল্টা ধরেছে। গাছগুলো মাল্টা ফলে ভরে ওঠেছে। তিনি জানান, প্রায় চার বছর আগে লাগানো গাছের পরিচর্যা করায় এবছর বাম্পার ফলন হয়েছে মাল্টার । নিজের বিশ শতক জমিতে মাল্টা গাছ লাগিয়ে সফলতার মুখ দেখায় এবার বাগান বাড়ানোর ইচ্ছে তার।
তিনি আরও বলেন, আমার বাগানে প্রথম বছর থেকেই মাল্টা ধরছে। গত বছর তিনি ১০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। তার বাগানের মাল্টা ২শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এলাকার পরিচিত লোকজন আগেই অর্ডার করে থাকেন। বিদেশী এই ফলটি অন্য দেশ থেকে এনে দেশের চাহিদা মেটানো হতো। বিগত ৩-৪ বছর ধরে দেশেই এই ফলের চাষ হচ্ছে। আর দাম ভালো পাওয়া যায় মাল্টা চাষিরা এ ফল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ ও বড়লেখায় মাল্টা বাগান গড়ে তুলছেন কিছু শৌখিন চাষী। শ্রীমঙ্গলের সেলিম আহমদ বলেন, প্রথমে শখে কিছু চারা লাগিয়ে দেখলাম ফলন ভালোই হচ্ছে। পরে প্রায় ৫হাজার চারা আমার বাগানে লাগিয়েছি। এসব বাগানে প্রচুর ফল ধরেছে। তিনি জানান গত বছর প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। তার আশা এবছর ফলন আরো বেশী হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এই জেলায় ছোট-বড় প্রায় ২৭৫টি মাল্টা বাগান রয়েছে। মাল্টা বাগানের পরিমাণ ৮০ হেক্টর মতো। প্রতি হেক্টরে গড়ে প্রায় ৬ মেট্রিক টন ফল ধরে। আর সবচেয়ে বেশি শ্রীমঙ্গলে মাল্টা উৎপাদন হচ্ছে।
মৌলভীবাজার কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, এ জেলার মাটি কিছুটা এসিডিক যেটা লেবু জাতীয় ফসল চাষের জন্যই উপযোগী। সেকারণে মাল্টা চাষের জন্য এই মাটি উপযোগী। ২০১৮ সাল থেকে বারি মাল্টা-১ পরীক্ষামূলক ভাবে আমরা চাষ শুরু করেছি। সেই বছর ফলন ভালোই হয়েছিল । এবছর জেলার বিভিন্ন বাগানে মাল্টা সংগ্রহ হচ্ছে। প্রতি কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি করতে পারছে চাষীরা। এ মাসের শেষের দিকে মাল্টা বাজারজাত করা যাবে।