প্রেমিকের খোঁজে ভারতীয় তরুণী সুনামগঞ্জে, পুলিশ দিলো জেলে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা :
পাঁচ বছর আগে মামলার আসামি হয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতের আসামে গিয়েছিলেন আব্দুস সাত্তার (২৭) এক যুবক। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় মঞ্জুরা বেগম (২০) নামে এক তরুণীর। তাদের মাঝে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে সাত্তার দেশে ফিরে আসার পর মোবাইল ফোন, ইমো ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে এগিয়ে চলে তাদের সম্পর্ক। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর সম্পর্ক চলার পর প্রেমের টানে মঞ্জুরা বেগম ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে। আসার পর প্রবাসে থাকা সাত্তারের সঙ্গে ফোনে বিয়ে হয় তার। কিন্তু এদিকে দেখা দেয় আরেক বিপত্তি। অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মঞ্জুরা বেগম ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুক জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলির মেয়ে।
প্রেমের টানে বিনা পাসপোর্টে কাঁটাতার পাড়ি দেয়ায় মঞ্জুরা বেগমকে আটক করে বিজিবি। বিজিবি মঞ্জুরার নামে বিনা পাসপোর্ট ও অনুমতি ছাড়া দেশে প্রবেশ করার কারণে দোয়ারা থানায় একটি মামলা দিয়ে রবিবার রাতে দোয়ারাবাজার থানায় হস্তান্তর করে। বাংলাদেশে বিনা অনুমতিতে পাসপোর্ট ছাড়া অবৈধভাবে প্রবেশ করায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৮ তারিখ ১৬/৯/২০২০। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামুঞ্জর করে কারাগারে পাঠান।
স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস সাত্তার পাঁচ বছর আগে তার এক বন্ধুর প্রেমে সহযোগিতা করায় মামলার আসামি হন। মামলায় তার বন্ধু জেল খাটেন আর তিনি পালিয়ে চলে যান। ভারতের আসামে প্রায় বছর খানেক বসবাস করায় মঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে। বছর খানেক পরে সাত্তার চলে আসে বাংলাদেশে। দেশে আসার পর সে বাহরাইন দেশে চলে যায়। সেখানে প্রায় তিন বছর যাবৎ সে আছে। এর মধ্যে দুজনের সম্পর্ক চলতে থাকে। সম্প্রতি মঞ্জুরার বিয়ের জন্য কয়েক জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। এ বিষয়ে মঞ্জুরা সাত্তারকে জানান। সাত্তার মঞ্জুরাকে তার বাড়িতে বাংলাদেশে আসার ঠিকানা দেন। সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে চলে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী। সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান বর্ডার থেকে রিসিভ করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মঞ্জুরার সম্মতিতে মোবাইল ফোন মারফত বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়।