পিয়াজের সেঞ্চুরি: সিলেটে হুলুস্থূল কাণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
পিয়াজের দর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। পিয়াজ নিয়ে সিলেটে হুলুস্থূল কাণ্ড শুরু হয়েছে। হু হু করে বেড়ে গেছে পিয়াজের দাম। পাইকারি বাজারেই পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। আর খুচরো বাজারে এই পিয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি আড়তদাররা জানিয়েছেন, ভারত থেকে পিয়াজ না এলে সহসাই সিলেটের বাজারে কমবে না পিয়াজের দাম। বরং সংকট থাকায় দিন দিন এ দাম বাড়বেই। সিলেটে পিয়াজের বড় আড়ত হচ্ছে নগরীর কালিঘাট। পাইকারিভাবেই এই আড়তে বিক্রি হয় পিয়াজ। গতকাল দুপুরে কালিঘাটের একেক দোকানে একেক দামে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। কেউ পিয়াজ বিক্রি করছিলেন কেজিপ্রতি ৬০ টাকা দরে, আবার কেউ বিক্রি করছিলেন ৬৫ টাকা দরে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সিলেটের বাজার ভারতের পিয়াজের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে সীমান্ত থেকে পিয়াজ বন্ধের খবর আসে। আর এই খবরেই সিলেটের মার্কেটে পিয়াজের দাম বেড়ে যায়। তারা জানান, গত সপ্তাহ পর্যন্ত এই পিয়াজ কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিলো। কিন্তু দাম বাড়ার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম দুই দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এদিকে পাইকারি আড়তে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। সোমবার থেকেই হঠাৎ করে দাম বাড়তে থাকে। সিলেটের বন্দরবাজার, লালবাজার, উপশহর, মেন্দিবাগ, সোবহানীঘাট, টিলাগড়, মেজরটিলায় দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি কেজি, আর ছোট আকৃতির দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কেজি। অথচ দু’দিন আগে এসব পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় আর ছোট পিয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৬৫ টাকায়। মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে আমদানি করা পিয়াজ এসব বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়।
সিলেটের কালিঘাট বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পিয়াজ হচ্ছে কাঁচামাল। এটি মজুত করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে সিলেটের ব্যবসায়ীদের কাছে এখন খুব বেশি পিয়াজ মজুত নেই। এরপরও যাতে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয় সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের বলে দেয়া হয়েছে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব জানিয়েছেন, সিলেটের বাজারে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকা। সরবরাহ কম থাকায় সংকট বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও।