আলোচনায় দুই চৌধুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৩:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও আলোচনায় ছিলেন তারা। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে স্থান পেতেও আলোচনায় তারা।
যদিও সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রের হাতে, নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষের চোখে জেলা কমিটিতে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রের হাতে জমা পড়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। এর আগে মহানগর কমিটিও পৌঁছে গেছে কেন্দ্রে। কমিটিতে কারা আসছেন, এ নিয়ে সিলেটে চলছে তুমুল আলোচনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাবেক কমিটির নেতাদের পাশাপাশি সম্পাদকীয় পদে নতুনরাও সুযোগ পাচ্ছেন। কমিটিতে জায়গা করে নেওয়া নেতাদের মধ্যে সম্পাদকীয় পদে রদবদল হতে যাচ্ছে। কিছু নতুন মুখ আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, সম্মেলনের পর থেকে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে চোখ সবার। গুরুত্বপূর্ণ এ পদে কে আসছেন, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা থেমে নেই। কেননা বর্তমান সভাপতি সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তাই সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ পদে আলোচনায় রয়েছেন দুই চৌধুরী। তারা হলেন, সদ্য সাবেক জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সদ্য বিদায়ী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। অবশ্য সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কে আসছেন, তা দলের সভানেত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনার পর নড়েচড়ে বসে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়।
এদিকে, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আলোচনায় থাকা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও তিনি শিগগিরই মধ্যে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা। অপরদিকে, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীও বসে নেই। তিনি কেন্দ্রে সময় দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, মহানগর আওয়ামী লীগে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দলীয় সূত্র জানায়। তবে এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল নেতারা সরাসরি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর নগরীর আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মহানগরে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন ১২ জন এবং জেলার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন ৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পরে সমঝোতার মাধ্যমে সম্মেলনে ঘোষিত কমিটিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হন মহানগরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে সদ্য সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন খাঁনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।