‘সুনামগঞ্জে গাড়ির সঙ্গে শরীরের নাটবল্টুও নড়ে’
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা :
ভোগান্তির যেন শেষ নেই সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবীনগরবাসীর। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়ায় সত্ত্বেও ওয়ার্ডবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামের মত ভাঙাচোরা সড়কে।
সম্প্রতিক বন্যার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ আপদকালীন সংস্কার কাজও করেনি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি বছরের মতো এবারো তিন দফা বন্যায় সুনামগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নবীনগর-ধারাগাঁও সড়ক। এলাকার বরকত চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে পৌরসভার শেষ সীমানা পর্যন্ত বন্যায় পানিতে ভেসে গেছে সড়কের মূল কাঠামো। পানির চাপে উঠে গেছে সড়কের বিটুমিন, খানাখন্দে ভরে গেছে সড়ক। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। প্রতিদিন ঘটছে অসংখ্য দুঘর্টনা।
সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা এলাকার আলী হোসেন বলেন, নবীনগর-ধারারগাঁও সড়ক হয়ে আমাদের শহরে আসতে হয়, কিন্তু সড়কের বেহাল দশা, যেন দেখার কেউ নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোচালক বলেন, ভাঙা সড়কের জন্য নবীনগর আমরা আসতে চাই না যাত্রী নিয়ে, এখানে যাত্রী নিয়ে আসলে গাড়ির সঙ্গে শরীরের নাটবল্টুও নড়ে।
নবীনগর এলাকায় বসবাসকারী সালেহীন চৌধুরী শুভ বলেন, ভাঙা সড়কে আমাদের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়ক সংস্কারে বিকল্প নেই।
ধারারগাঁও এলাকার রাজন মাহবুব বলেন, চালকরা নিজ উদ্যোগে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সড়কের অনেক জায়গায় ইটের সুড়কি ফেলেছেন। ভাঙা সড়কে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শহরের সব সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুতই শুরু হবে। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ কমে যাবে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন বলেন, এবারের তিন দফা বন্যায় পৌরসভার ৬৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা।