সিলেটে আরো ২টি করোনা টেস্ট ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:১৮ অপরাহ্ণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেটে ইতোমধ্যে দুটি ল্যাব রয়েছে। আরো দু’টি আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সীমান্তিক। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সীমান্তিকের উদ্যোগে সিলেটে একটি এবং হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরেকটি ল্যাব স্থাপিত হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেট-এর সহকারী পরিচালক ডা.আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান সিলেটে বিদ্যমান দু’টি ল্যাবে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে । সিলেটে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে নতুন দু’টি ল্যাব স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডিও লেটার (ডেমি অফিস লেটার-আধা সরকারি পত্র) দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী।
এছাড়া, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সীমান্তিক এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রিচার্স ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট’ (আরটিএম) ইন্টারন্যাশনাল এর প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.আহমদ আল কবির আরেকটি কোভিড ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদন দু’টির ব্যাপারে সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিবাচক মতামত দিয়েছে বলে জানান ডা: আনিস।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, সিলেটে বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
ওসমানীর ল্যাবে প্রতিদিন ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর শাবির ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে ২৮২টি থেকে শুরু করে ৫৬৪টি পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সিলেট বিভাগ থেকে সংগৃহীত কিছ নমুনা আগে ঢাকায় প্রেরণ করা হতো। তবে, গত এক মাস ধরে নমুনা ঢাকায় যাচ্ছে না। তবে, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে কিছু নমুনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সীমান্তিক এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির জানান, এরই মধ্যে সীমান্তিক কমপ্লেক্সে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। শাবিপ্রবি’র জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগিতায় ল্যাবটি স্থাপন করা হয়েছে । ল্যাবের জন্য জার্মান থেকে অত্যাধুনিক মেশিনও আনা হয়েছে। শিগগিরই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ল্যাব চালুর অনুমোদন পাবেন বলে জানান ড. আহমদ আল কবির। অনুমোদনপ্রাপ্তির পর চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ল্যাবটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলের অনেক প্রবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার রিপোর্ট পেতে চান। বিদেশগামী লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে এ ল্যাব সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।