সিলেটের ঘরে ঘরে জ্বরের হানা, আছে করোনা আতঙ্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটে হঠাৎ করে জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণত আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশে এ সময়টাতে জ্বরের প্রকোপ এমনিতেই বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি তেমন ভয়ের কিছু না হলেও এবারের জ্বরের মাত্রাটা অন্যবারের চাইতে বেশি। বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে- ভাইরাস জ্বর ৪-৫ দিনে সেরে গেলেও এবারে রোগীকে বিছানায় ফেলে রাখছে ১০-১২ দিন। জ্বরে আক্রান্ত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
গত দু-তিন সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শি’শু থেকে বৃদ্ধ- সকল বয়সের মানুষই পড়ছেন এ জ্বরের কবলে।
এদিকে, ভাইরাসজনিত এ জ্বর অনেকের ভেতরে দেখা দিয়েছে করো’না আতঙ্ক। তবে এতে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, তাপমাত্রার উঠা-নামা, হঠাৎ গরম ও হঠাৎ ঠান্ডা লাগা এবং সর্বোপরি সিজনাল (ঋতু পরিবর্তনজনিত) কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এই জ্বর হলে শীত শীত ভাব, মা’থা ব্যথা, শরীরে ও গিরায় ব্যথা, খাওয়ায় অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি, কাশি, অস্থিরতা ও ঘুম কম হতে পারে।
অ’পরদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে আসন্ন শীতে বাংলাদেশে করো’নার দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা দিতে পারে। তাই এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি উল্লেখ করে দেশের মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলেছেন।
সিলেটের কয়েকটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। তাদের শরীরে সবসময়ই এক শ’র উপরে জ্বর থাকছে। এছাড়াও প্রচণ্ড মাথা ও শরীর ব্যথা রয়েছে। অনেকের সার্দি-কাশিও।
কেবল সিলেটে নয় সারাদেশেই এমন অবস্থা বিরাজ করছে। বিয়ানীবাজারসহ আশেপাশের উপজেলায় সাধারন ফ্লু বেড়ে গেছে বলে জানা যায়।
তবে সাধারন ফ্লু জনিত জ্বর হলে ঘাবড়াবার কিছু নেই জানিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম আলী খান জানান, সিজনাল ফ্লুর কারনে অনেকের জ্বর হতে পারে তাই আতংকিত না হয়ে বাড়িতে বসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হটলাইনে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিতে হবে। করোনার সবগুলো উপসর্গ দেখা দিলে কেবলমাত্র কোভিড-১৯ টেস্ট করানো উচিত।