ফেসবুকে মুহাম্মদ (সা:)-কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, জনমনে ক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:৪১ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহাম্মদ সা. কে উদ্দেশ্য করে অপমানকর মন্তব্য ও ইসলামের ঐতিহাসিক সত্য কিছু বিষয়াবলির মনগড়া অপব্যাখ্যা করায় বালাগঞ্জ উপজেলা সর্বমহল ও এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ সৃষ্টি হয়েছে। বালাগঞ্জের দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের গহরপুরের শিওরখাল গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরীর ছেলে নিয়ামুল হক চৌধুরী নামের এক যুবক এসকল আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে এলাকায় যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর পারিবারিকভাবে এই ধারণা লালন করা হয়ে থাকে। যে কারণে এই ধারণা থেকেই সে দীর্ঘদিন থেকে কৌশলে বিভিন্ন সময় তার ফেসবুক “Niaamul H Chowdhury (নিয়ামুল এইচ চৌধুরী)” আইডি থেকে পবিত্র ইসলাম ও নবী মুহাম্মদ (সা.), মা আয়েশা (রা), সাহাবিদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আসছে। এছাড়াও সে নিজে কয়েকজনের মন্তব্যে লিখেছে পড়াশোনা কালীন সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের জিহাদি ছিল এবং বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যও ছিল।
সম্প্রতি md moniruzzamn suzon(মো. মনিরুজ্জামান সুমন) নামের আইডির পোস্টে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃতজ্ঞ তারাই যারা তার সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে।’ এরপ্রতিত্তোরে অভিযক্ত নিয়ামুল বলেছেন ‘আল্লাহ আছেন মানি কিন্তু দাসব্যবসায়ী মুহাম্মদ একটা ভন্ড ছিল, ইজ দ্যাট অকে?’ এ কথাগুলো নিয়ে স্যোসাল মিডিয়া ও উপজেলা জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
তার আপন বড় ভাই, ফাতহুল হাসানাত চৌধুরী শিমুল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এর সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিন থেকে কোন যোগাযোগ নেই, ধর্ম বিদ্বেষমূলক আচরণকারীর সাথে আমাদের যোগাযোগ থাকতে পারেনা, আপনারা যা করবেন আপনাদের সাথে আছি।
এ ব্যাপারে সুলতানপুর মহিলা মাদরাসার নায়বে মুহতামিম মাও. নোমানুল হক চৌধুরী বলেন, সে দেশের যেখানেই থাকুক প্রশাসনকে তার বিরুদ্ধে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সাংবাদিক জাগির বলেন, অভিযুক্ত নিয়ামুলের কথা গুলার দ্বারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, অনতিবিলম্বে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হোক।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমানের সাথে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে প্রায় ১০/১২ বছর থেকে বাড়িতে থাকেনা ঢাকায় থাকে। সেখানে যদি তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মামলা করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা যাবে। এছাড়াও বিষয়টি আমার নজরে আছে। উল্লেখ্য, বালাগঞ্জে তাঁর বিরুদ্ধে অনেকেই মামলা করার মতামত ব্যক্ত করেছেন।