সিলেটে হাই-টেক পার্কের কাজ ২২ শতাংশ বাকি
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:৩৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সরকার সারাদেশে হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করছে। এরমধ্যে দুটো পুরোপুরি চালু হয়েছে। একটির নির্মাণ কাজ চললেও সেখানে যেসব প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারমধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করেছে। কয়েকটির হাই-টেক পার্কের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। গত জুন মাস পর্যন্ত সেগুলোর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতিতে এগিয়ে দেশের এসব হাই-টেক পার্ক, যা বর্তমানে দৃশ্যমান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পার্কগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানও এসব পার্কে কাজের সুযোগ পাবে। ফলে প্রযুক্তিভিত্তিক বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা আরও সহজ হবে। সরকারের আশা, ২০৩০ সাল নাগাদ এসব হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক থেকে এক হাজার কোটি ডলারের সফটওয়্যার রফতানি করা যাবে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশের ৫টি হাই-টেক পার্ক বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এসব হাই-টেক পার্কে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান হবে ‘ তিনি আশাবাদী, আমাদের যে পরিকল্পনা তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে এসব হাই-টেক পার্ক এক হাজার কোটি ডলার আয় করবে সফটওয়্যার রফতানি করে।
সিলেটে ১৬২ দশমিক ৮৩ একর জমিতে পিপিপি মডেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলেছে। এই পার্ককে বিশেষায়িত ইলেকট্রনিক সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এখানে বিশ্বমানের বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে বলে জানা গেছে, যেখানে ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে আইটি পেশাজীবীদের চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে। এরইমধ্যে আইটি বিজনেস সেন্টার, গেস্ট হাউজ, ইউটিলিটি ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। সূত্র বলছে, প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি প্রায় ৭৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বেসরকারি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ঘোষণার গাইডলাইনের আওতায় ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ৯টি আইটি প্রতিষ্ঠানকে হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি বা হাই-টেক পার্ক হিসেবে ঘোষণা করেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কোম্পানিগুলোর জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ বছর কর মওকুফ, পার্ক ডেভেলপারের জন্য ১২ বছর পর্যন্ত কর মওকুফ, মূলধনী সম্পত্তি ও মেশিনারিজের ওপর আমদানি শুল্ক মওকুফ, প্রতিটি হাই-টেকপার্ককে ওয়্যারহাউজ স্টেশন হিসেবে বিবেচনা করা, ইউটিলিটি সেবার ওপর ভ্যাট মওকুফ, পুনর্বিনিয়োগের ক্ষেত্রে লভ্যাংশের ওপর কর মওকুফ, বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আয়ের ওপর আয়কর মওকুফের সুবিধা দিচ্ছে।