নেত্রকোনায় ট্রলারডুবিতে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই সুনামগঞ্জের : দাফন সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
নেত্রকোনার গুমাই নদীতে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ৯ জনের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে নেত্রকোনা জেলার গুমাই নদীতে বালুবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে গেলে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার ইনাতনগর গ্রামের নারী ও শিশুসহ ৭ জন ও উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের ২ জনসহ মোট ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রলার ডুবিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি কলমাকান্দা হয়ে নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বরখাপন ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম সংলগ্ন গুমাই নদীতে বালুবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়।
এতে এখন পর্যন্ত নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলেন- ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের আব্দুল ছায়েদের স্ত্রী মাজেদা আক্তার জাবেদা (৫৫), আলমগীর মিয়ার ছেলে অনিক আহমেদ জনি (৬), আব্দুল ওহাবের স্ত্রী ও শিশু সন্তান লৎফুরনাহার (২৬), রাকিবুল হাসান (৩), হাবিকুল মিয়ার স্ত্রী ও শিশু সন্তান লাকি আক্তার (৩০), টুম্পা আক্তার (৭), পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সুলতান মিয়া (৪৫), একই গ্রামের জুবায়েরের ছেলে মোজাহিদ (৫) এবং নেত্রকোনা জেলার মেদনী ইউনিয়নের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা (৫০)।
পরবর্তীতে সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলা থানা পুলিশ ও মধ্যনগর থানা পুলিশের সহায়তায় নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে ওইদিন রাতেই ৯ জনের মরদেহ পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়েছে।
অন্যদিকে এখনও উদ্ধার কাজ অব্যহত আছে বলে জানিয়েছেন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দাফন কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে আরও মরদেহের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে তাই উদ্ধার কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ধর্মপাশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার ও নেত্রকোনা জেলা প্রশসানের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সকল পরিবারকে শুকনো খাবার প্রদান করা হয়েছে। যে কোনও প্রয়োজনে নিহতের পরিবারের পাশে প্রশাসন থাকবে।