সিলেটে ’বাবার’ নেশায় ভাসছে তরুণরা : আটক ৬
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৪:৪১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
গাঁজা ও ফেনসিডিলের পর নতুন নেশা জাতীয় দ্রব্য হিসেবে ইয়াবা এখন একক রাজত্ব গেড়ে বসেছে সিলেটের নেশার জগতে। গোলাপী বা হালকা লাল রংয়ের ছোট্ট এ ট্যাবলেটটিকে এখানকার মাদকসেবী ও বিক্রেতারা সংক্ষিপ্ত করে ‘বাবা’ সম্বোধন করে।
রাতের আঁধার নেমে আসতেই নেশার ভুবনের বাসিন্দা হওয়ার জন্য উতলা হয়ে ওঠে অনেক তরুণ। সিলেটের অধিকাংশ এলাকায় চুপিসারে নজর করলে মাদকসেবীদের ব্যাকুলতা ধরা পড়বে। কলেজ পড়ুয়া-কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়সীরা পর্যন্ত নেশার জালে জড়িয়ে গেছেন। তাই চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন অভিভাবকসহ সচেতন মানুষ।
সিলেট অঞ্চলে প্রায় ৪ বছর আগেও ইয়াবার প্রভাব তেমনটা ছিল না। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে ইয়াবা ভয়াবহতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে সিলেট সীমান্তকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক চোরাচালানীরা। এর ফলে এ অঞ্চলের সর্বত্র ইয়াবার বিস্তার দ্রুত ঘটছে ।
এদিকে, প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে। সিলেটে র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৪৬৭ পিস ইয়াবাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তাকৃতদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এরআগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন সময়ে পৃথক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
র্যাব জানায়, জৈন্তাপুরে র্যাব অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। সে জৈন্তাপুর থানাধীন ভিতর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। এসময় র্যাব তার কাছ থেকে ৯৬২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এরআগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) র্যাব-৯ এর উপ অধিনায়ক মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েম, সিনিয়র এএসপি নাহিদ হাসান এবং এএসপি ওবাইনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায় র্যাব।
এছাড়া, র্যাবের আরেকটি দল শাহপরাণ থানাধীন বালুচর থেকে ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়। এসময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার কামালপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে শাহিন আলম ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার তিনশি গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে শাহিন।
অপরদিকে, শহরতলীর উত্তর বালুচর থেকে র্যাবের আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে ৩৭০ পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- শাহপরাণ থানধীন বালুচর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আপন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ থানার নতুন জীবনপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ ছেলে শফিক আহম্মেদ ও শাহপরাণ থানাধীন বাহুবল গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে শাহ আলম। সুত্র-সিলেটসান