নাদিয়া হুজুর এর চিকিৎসায় বালাগঞ্জের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার অনুদান প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:১২ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকায় চিকিৎসাধীন মাওলানা আবু ইউসুফ (নাদিয়ার হুজুর) এর চিকিৎসায় বালাগঞ্জবাসীর উদ্যোগ সংগৃহীত তহবিল বালাগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে নগদ ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮সেপ্টেম্বর) বালাগঞ্জের পক্ষ থেকে চারজনের এক প্রতিনিধি দল ঢাকায় গিয়ে সরাসরি নাদিয়া হুজুরের হাতে টাকা তুলে দেন ইসলামিয়া মুহাম্মাদীয়া আলীম মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হুসাইন আহমদ মিসবাহ, সাংবাদিক আবুল কাশেম অফিক, বালাগঞ্জ ফিরুজাবাগ মাদরাসার শিক্ষক, মাওলানা আব্দুশ শহীদ, ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আব্দুল বাসিত। এই সময় উপস্থিত ছিলেন হুজুরের এলাকা কুমিল্লার পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট মুফাসসীরে কুরআন মাওলানা আব্দুল হক আমিনী, হুজুরের শ্যালক মাস্টার সাইফুল ইসলাম।
মাওলানা আবু ইউসুফ (নাদিয়া হুজুর) টিভি ইস্পাইনার এ আক্রান্ত হওয়ায় উনার দ্রুত অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে, অন্যতায় দেহ প্যারালাই হওয়ার সম্ভানা রয়েছে। তাই অপারেশন ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকা চলে আসেন। কিন্তু তাঁর আর্থিক অবস্থা অসচ্ছলতার ধরুন চিকিৎসা ব্যয় বহন কষ্টসাধ্য হওয়ায় এই সহায়তা প্রদান করা হয়। এই সহায়তার সিংহভাগ টাকা এসেছে বালাগঞ্জের কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী এ.এফ.এম. সায়মন চৌধুরীর মাধ্যমের।
উল্লেখ্য মাওলানা আবু ইউসুফ (নাদিয়া হুজুর) দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবত বালাগঞ্জের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে খেদমত করে আসছেন। তিনি ২২ জুলাই ১৯৬৭ ইংরেজি সালে চাদপুর জেলার পশ্চিম সকদি গ্রামে মরহুম মৌলভী সিরাজুল ইসলাম ও আয়াতুন নেছার ঔরসে জন্ম গ্রহন করে আজ থেকে ৪১ বছর পূর্বে ১৯৭৯ সালে বালাগঞ্জে এসে দয়ামির মাদরাসায় ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তার ১৯৮৭ সালে বরুণা মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস পাস করেন। তারপর ১৯৮৮ ইংরেজি সালে ওসমানীনগরের দারুল কুরআন নাজির বাজার মাদরাসায় ৩ বছর শিক্ষকতা করেন। তার ১৯৮৯ ইংরেজি সালে বালাগঞ্জ সদরে রুপিয়া জামে মসজিদে এক বছর ইমামতি করেন। পরের বছর ১৯৯০ ইংরেজি সালে বালাগঞ্জ ফিরোজাবাগ মাদরাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান ২০০৭ ইংরেজি পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি ১৯৯৮ ইংরেজি সালে বালাগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ছানী ইমাম হিসাবে যোগদান করে ২০০৫ ইংরেজি সাল পর্যন্ত খেদমত করেন। তার পর ২০০৮ ইংরেজি সাল থেকে হরিশ্যাম গৌরীপুর মাদরাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে ৬ বছর খেদমত করেন। সব শেষে ২০১৩ ইংরেজি সাল থেকে নতুন সুনামপুর তাহফিজুল কুরআন মাদরাসায় শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে অদ্যাবধি খেদমতে নিয়োজিত আছেন।