সিলেট জাপা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:৫০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে জাতীয় পার্টিতে (জাপা) শীর্ষ নেতাদের দ্বন্দ্ব দিন-দিনই বাড়ছে। তৃণমূলে সঠিক নেতৃত্ব না পাওয়ায় অনেক কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এছাড়া নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আর কোন্দলে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা।
নেতৃত্বের বিরোধে সিলেট জাপার ভবিষ্যৎ এখন ঘোর অন্ধকারে। ফলে দুইবার প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেও জেলা সম্মেলন করতে পারেনি দলটি। দিন-দিন এ সংকট আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
এদিকে নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দলটি জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি বলে মনে করছেন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।
একাধিক নেতা-কর্মী জানান, জাপার এমপি ও নেতাদের দলবদলে সংগঠনের কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারায় সংগঠনটি। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে সিলেটে এখন দলটির কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে সিলেট জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টিতে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। জেলা শাখায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী এটিইউ তাজ রহমানকে আহ্বায়ক ও উসমান আলীকে সদস্য সচিব করে ৮১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।
অপরদিকে মহানগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়াকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ুমকে সদস্য সচিব করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন কমিটি দূরে থাক, সম্মেলনই করতে পারেনি উভয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি। এমনকি জেলা ও মহানগর শাখার অধীনে থাকা কোনো ইউনিটেও সম্মেলন হয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ মার্চ দলটির সিলেট জেলা সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (সিলেট বিভাগ) এটিইউ তাজ রহমানকে আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য উসমান আলীকে সদস্য সচিব করে ১৩ সদস্যের নতুন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। তারা দুইজন আগের কমিটিরও আহ্বায়ক-সদস্য সচিব ছিলেন।
ওই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে এর বিরোধিতা করে জেলা জাতীয় পার্টির একটি অংশ। তারা দাবি করেন, তিন বছরেও সম্মেলন করতে পারেননি তাজ রহমান ও উসমান আলী।
দীর্ঘদিন থেকে কমিটি গঠন ও সম্মেলন করতে না পারার পেছনে একমাত্র কারণ হিসেবে জাপা সিলেটের সাবেক এমপিদের ওপর দোষ চাপালেন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব উসমান আলী।
তিনি বলেন, সিলেটের বিভিন্ন আসনের বর্তমান ও সাবেক এমপিদের অসহযোগিতার কারণে বিগত সময়ে কমিটি গঠন করতে পারিনি। এছাড়া সম্মেলন করতে যে ‘সাপোর্ট’ লাগে সেটা তারা করেননি। ফলে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার একটি সফল সম্মেলন হবে। সব পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে সম্মিলিত আয়োজক কমিটি গঠন করায় এবার সম্মেলন সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে।
জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, অতীতে কমিটিগুলো একতরফা থাকায় সম্মেলন করতে পারেনি। এবার আমাদের আয়োজক কমিটিতে রাখা হয়েছে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয় থাকায় এবারের সম্মেলনটা সম্পন্ন করা যাবে।সুত্র-ডেইলি বাংলাদেশ