মৌলভীবাজারে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৬:২০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজারে সামাজিক সংগঠনের দাবি সেই সামাজিক মাধ্যম ও প্রকাশ্যে মাদক সেবনের স্বীকারোক্তি দেয়া ব্যক্তিদের কারীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা ও শহরকে মাদক মুক্ত করতে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার শহরে মানববন্ধন এবং প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক শুক্রবার(৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জানান, এই ঘটনায় ৩১ আগস্ট পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এক আসামী রায়হান আনছারী সজিবকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও অনৈতিক কার্যকলাপ ঘটে এসব স্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মৌলভীবাজার শহর শান্তিপূর্ণ শহর। এখানে মাদকের আসর বসিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটিয়ে তা নিজেদের ফেসবুকে প্রচার করার যে দু:সাহস যারা দেখিয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় জেলার সর্বস্থরের মানুষকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়ন করা হবে।
বক্তারা বলেন, মাদক ও ধষর্নের ব্যাপারে সরকার যেখানে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় এরকম একটি ঘটনায় বিস্মিত জেলার সর্ব স্তরের মানুষ। হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহঃ)পূন্যভূমিতে এই বেহায়াপনা, অশ্লিল,অনৈতিক কার্যক্রম কোনভাবেই সহ্য করা যায়না।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা যৌন হয়রানী নির্মূল কমিটির সভাপতি রাশেদা বেগম, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলীম উদ্দিন আলীম, শেখ বুরহান উদ্দিন (রহ:) ইসলামী সোসাইটির চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব, বাধন থিয়েটারের সভাপতি রুহেল আহমদ, সমাজসেবক কে,এম,আকলু, তরুণসমাজকর্মী মিজানুর রহমান রাসেল, আদর মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক নিখিল তালুকদার প্রমুখ।
জানা যায়, গত ৩ আগস্ট শহরের সুনাপুর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খান তার বাসায় মদ ও গাঁজা পার্টির আসর বসান। ওই সময়ে বন্ধুদের নিয়ে মাদক পার্টি ও ধর্ষনের আড্ডা ও রাতভর নানা আমুদ ফুর্তি হয়। মাহমুদ এইচ খান, সজিব, রায়হান, মার্জিয়া প্রভা ও মারিয়া রাত্রী যাপন করেন।
গত ২৫ আগস্ট সজিব তার বান্ধবীর সাথে জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন মাহমুদ এইচ খান। পর দিন ২৬ আগস্ট সজিব ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে মেয়েটির ইচ্ছাতেই সব হয়েছে বলে পাল্টা পোস্ট দেয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় চলছে মৌলভীবাজার জুড়ে।