কৃষকের অভিযোগ আমলে নিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কর্তৃক অভিযুক্তকে জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাকালী সময়ে যখন কৃষকরা দেশের মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে উৎপাদনে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় তাদের কাছে অতিরিক্ত দামে কৃষি পণ্যের বীজ বিক্রি করতে ব্যস্ত। কৃষকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত দামে টমেটো বীজ বিক্রি করছে এমনি অভিযোগ এনে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর বাজার এলাকার মো: সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন কৃষক বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিনকে জানান এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং ঘটনাস্থলেই আরও অনেক কৃষকই আদমপুর বাজারে অবস্থিত খান এন্ড সন্স এর বিরুদ্ধে ৪৫০ টাকার টমেটোর বীজ ৭০০ টাকার অধিক দামে বিক্রি করেন মর্মে অভিযোগ আনেন।
কৃষি বীজ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান খান এন্ড সন্স এর প্রোপাইটর মজিদ খান দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এধরণের কাজ আর করবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। সার্বিকদিক বিবেচনা করে অতিরিক্ত দামে কৃষি পণ্যের বীজ বিক্রয় করার দায়ে খান এন্ড সন্সকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আইন অনুযায়ী অভিযোগকারী মো: সাজ্জাদ হোসেনকে জরিমানার ২৫% হিসেবে ৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিযান কালে একই ফ্রিজে মাছ মাংসের পাশাপাশি ঔষধ রাখা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের মূল্য তালিকা না রাখা, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য বিক্রয় করা, অতিরিক্ত দামে খাদ্য পণ্য বিক্রয় করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে আদমপুর বাজারে অবস্থিত ন্যাশনাল ফার্মেসীকে ২ হাজার ৫ শত টাকা, খুরমা রোডে অবস্থিত হক ভেরাইটিজ ষ্টোরকে ১ হাজার টাকা, নইনার পাড় বাজারে অবস্থিত ইভা ট্রেডার্সকে ১ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।
আজকের অভিযানে মোট ৪ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাচামাল, মশলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে এবং নকল হ্যান্ড সেনিটাইজার ও নিম্ন মানের সংক্রমণরোধী জীবাণুনাশক বিক্রয় না করতে পারে সেই লক্ষ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে।