যোগদানের পর থেকেই কর্মস্থলে নেই বালাগঞ্জ হাসপাতালের এক চিকিৎসক!
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক আবাসিক মেডিকেল অফিসার যোগদানের পর থেকেই নিজ কর্মস্থলে নেই। কর্মস্থলে না থাকলেও হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অফিস ম্যানেজ করেই বাড়িতে বসে পাচ্ছেন বেতন-ভাতা!
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত বছরের (২০১৯) জুলাই মাসে যোগদান করেন উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ ওসমান গনি (আয়ুর্বেদিক)। যোগদানের পর থেকে তিনি কর্মস্থলে নেই।
কর্মস্থলে না থেকেও হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অফিস ম্যানেজ করেই নিয়মিত নিচ্ছেন বেতন-ভাতা। আর এতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুই উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ।
ডাক্তার ওসমান গনি কত দিন থেকে কর্মস্থলে নেই বা অনুপস্থিত রয়েছেন এ এব্যাপারে হাসপাতালের অফিস সহকারী নুরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন।
অথচ হাসপাতালের চিকিৎসকদের মাসিক হাজিরা বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলিত বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে আগষ্ট পর্যন্ত মাত্র ১০ দিন ডাক্তার ওসমানী গনির স্বাক্ষর রয়েছে। বাকি মাসের সব তারিখ তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও অফিস সহকারী নুরুল ইসলামকে ম্যানেজ করেই ডাক্তার ওসমান গনি যোগদানের পর থেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে মাঝেমধ্যে বেতন-ভাতা নিতে অফিসে আসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর একাধিক চিকিৎসক ও স্টাফ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তিনি যোগদানের পর প্রথমে কিছুদিন কর্মস্থলে ছিলেন, এর পর থেকে বেশ কয়েক মাসের বেতন-ভাতা উঠিয়ে উনার বাড়িতে (ময়মনসিংহ) থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে বেতন-ভাতার উঠানোর জন্য হাসপাতালে আসেন।
মুহাম্মদ ওসমান গনি ডাক্তার নামের কেউ হাসপাতালে আছে কি না? এ প্রসঙ্গে কয়েকজন ডাক্তার ও নার্সদের উনার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ওই নামে কোন ডাক্তার হাসপাতালে আছে এই প্রথম নাম শুনলাম।
ডাক্তার মোহাম্মদ ওসমান গনির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এইচ এম শাহরিয়ার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রথম দিকে কিছুদিন নিয়মিত হাসপাতালে আসলেও পরবর্তীতে তাঁর অনুপস্থিতির জন্য শোকজও করেছি, এবং গত রমজান মাসের পর থেকে বেতন-ভাতা বন্ধ করেছি।