টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে পৌরশহর, আঞ্চলিক মহাসড়ক: চরম ভোগান্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২০, ২:৪৮ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের বড়লেখা টানা ১০ ঘন্টার ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বড়লেখা পৌরশহর। শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ওঠেছে। এতে দোকানের মালামাল পানিতে ভিজে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতে উপজেলার কয়েক হাজার একরের সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের ক্ষেত।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ১১টা থেকে বড়লেখায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে একটানা চলে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত। প্রায় ১০ ঘন্টার ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি দ্রæত নেমে যেতে না পারায় পৌর শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে। এছাড়া বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান তলিয়ে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শহরের বিভিন্ন বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠে মালামাল নষ্ট হয়েছে। বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখা থানা, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে, কাঠালতলী বাজার ও দক্ষিণভাগের টিলাবাজার নামক স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব স্থানে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানি ঠেলে চলতে গিয়ে যানবাহন বিকল হচ্ছে। মানুষজন পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন। এতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দখল আর দূষণে নদী-নালা ও ছড়া-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন সময় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি দ্রæত নামতে না পেরে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া পৌরশহরে অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেও অল্প বৃষ্টিতে কৃত্রিম জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার কারণে স্থানীয়দের বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। এতে তাদের লাখ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলতে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে স্থানীয়দের বার বার খেসারত দিতে হচ্ছে।
এব্যাপারে জানতে বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামারন চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।