সিলেটে সতেরো পৌরসভায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০২০, ৩:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট বিভাগের ১৭টি পৌরসভায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে এসব পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। এসব পৌরসভার ২২১টি মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে হাজারো সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। তারা কারোনাকালে স্থানীয় লোকজনের সেবার মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
সিলেট বিভাগের পৌরসভাগুলো হল- সিলেট জেলায় বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট পৌরসভা, সুনামগঞ্জ জেলায় সুনামগঞ্জ সদর, জগন্নাথপুর, ছাতক ও দিরাই পৌরসভা, হবিগঞ্জ জেলায় হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুর ও চুনারুঘাট পৌরসভা এবং মৌলভীবাজার জেলায় মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও বড়লেখা।
এর মধ্যে ১৭টি মেয়র পদে মাঠে রয়েছেন শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। মাঠে বেশিসংখ্যক প্রার্থী তৎপর হলেও ভোটযুদ্ধে এই সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ থাকবে না। কারণ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেন মেয়র প্রার্থীরা। এবারও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে নামার আগে দলীয় মনোনয়ন লাভের লড়াইয়ে নামতে হবে। প্রতিটি পৌরসভায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে আছেন। তাদের অনেকেই দলীয় মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন থেকে সরে যাবেন। এর মধ্যে কয়েকজন বিদ্রোহী প্রার্থী হতে পারেন। গত নির্বাচনে সিলেট জেলার চারটি পৌরসভার মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হন।
বিভাগের ১৭টি পৌরসভায় ১৫৩টি কাউন্সিলর পদে সাত শতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছেন নিজ নিজ ওয়ার্ডে। বৈশ্বিক মহামারীতে বিভিন্ন সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন লোকজনের। তেমনিভাবে ৫১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দুই শতাধিক নারী মাঠে কাজ করছেন। সবার লক্ষ্য একটাই- আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন।
এ ব্যাপারে সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন জানান, তারা মাঠপর্যায়ে এই নির্বাচন প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন। উপজেলা পর্যায় থেকে তথ্য নিয়ে শিগগিরই সিলেট অঞ্চলের পৌরসভাগুলোর অবস্থা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পৌরসভাগুলোর বর্তমান পরিষদের মেয়াদ, নির্বাচন আয়োজনে কোনো জটিলতা আছে কি না- এসব সার্বিক তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি সচিবালয়। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কমিশন মাঠপ্রশাসনের মাধ্যমে পৌরসভাগুলোর মেয়াদসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হয়। এসব পৌরসভার বেশির ভাগের মেয়র ও কাউন্সিলররা পরের বছর (২০১৬) শপথ নেয়ার পর ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই হিসাবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পৌরসভা আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যেসব পৌরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, সেগুলোয় নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হবে। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ বিবেচনা করে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন।-যুগান্তর