ব্রিটেন থেকে ৫ মাস ধরে যাচ্ছে না কার্গো : যেসকল দাবি জানালেন ব্যবসায়ীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ আগস্ট ২০২০, ১১:০২ অপরাহ্ণ
লন্ডন ডেস্ক:
করোনা মহামারি এবং বাংলাদেশের কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন নিয়মের কারণে গত মার্চ মাস থেকে ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশে কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে মালামাল প্রেরণ বন্ধ রয়েছে। প্রায় ৬মাস থেকে কার্গো সার্ভিস বন্ধ থাকায় যুক্তরাজ্যে এবং বাংলাদেশের কয়েক শতাধিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেক মানুষ জড়িত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ চাকুরি হারাবে।
এসব মানুষের চাকুরী রক্ষায় সরকারকে করোনাকালীন সময়ে কাস্টম বিভাগের নিয়ম শিথিল করার আহবান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কার্গো ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইনের একটি রেস্টুরেন্টে অল-ব্রিটিশ বাংলাদেশী কার্গো এসোসিয়েশনের নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা এ আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এবিবিসিএ পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও জেএমজি এয়ার কার্গোর এমডি মোঃ মনির আহমেদ, জেনারেল সেক্রেটারী মিটু পাল, প্রেসিডেন্ট মোঃ মিজানুল হক (আদিল)।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে মালামাল পাঠাতে সহজেই শুল্ক ও কর পরিশোধ করে মালামাল পাঠানো গেলেও যুক্তরাজ্য-প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন না।
কার্গো ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে প্রবাসের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে একটি টার্সফোর্স গঠন করার আহবান জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে যে বেশ কয়েক টন কার্গো পণ্য কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে, এর সাথে যুক্তরাজ্যের কার্গো বসসায়ীরা জড়িত নন বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
যুক্তরাজ্য থেকে বর্তমান কিছু কিছু বানিজ্যিক কার্গো সার্ভিস চালু থাকলেও সাধারণ যাত্রী ও প্রবাসীদের জন্য কার্গো আবার কবে শুরু হবে, নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কার্গো ব্যবসায়ীরা।
লিখিত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের অন্যতম একটি বাণিজ্যিক ক্ষেত্র হচ্ছে কার্গো ব্যবসা। ব্রিটেনে প্রত্যক্ষভাবে এ ব্যবসায় জড়িত আছেন প্রায় হাজারের উপরে ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ এবং ইউকের মধ্যে এ ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১০ হাজারের বেশী মানুষের।
সংবাদ সম্মেলন থেকে কার্গো ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বেশ কয়েকটি দাবী তুলে ধরা হয়। তা হচ্ছে—-
১. কোভিড-১৯ মাথায় রেখে প্রবাসীদের স্বার্থ বিবেচনায় সহজ শর্তে মালামাল পাঠানো এবং খালাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা । ২. পার্শ্ববর্তী দেশের বসবাসরত প্রবাসী নাগরিকরা সহজেই শুল্ক করাদি আদায়পূর্বক মালামাল তাদের নিজের দেশে পাঠাতে পারলেও নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন না । আমাদের আবেদন সহজ শর্তে এবং সুলভে শুল্ক করাদি আদায়পূর্বক বাংলাদেশে মালামাল পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা । ৩. প্রবাসী এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখে অতি শিগ্রীই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা। এক্ষেত্রে দেশ ও প্রবাসের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এবং সরকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ে একটি টার্সফোর্স গঠন করা।