সুনামগঞ্জে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করলো প্রতিপক্ষরা, আটক ২
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২০, ৪:৪১ অপরাহ্ণ
ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের ছাতকে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের পীরপুর উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন শাখার যুবলীগ নেতা।
পীরপুর উত্তরপাড়ার সৌদি আরব প্রবাসী রহিম উদ্দিনের শিশুপুত্র ফাহিম বাড়ির আঙ্গিনায় বাইসাইকেল চালাচ্ছিল। একপর্যায়ে সাইকেল নিয়ে সে পাশের বাড়ির আঙ্গিনায় গেলে জমসিদ আলীর ছেলে নুর আলী শিশুটিকে মারধর করে।
এ খবর পেয়ে ফাহিমের চাচা ছমির আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ পীরপুর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় নূর আলী ও তার সহোদররা। মখলিছ আলীর ছেলে আনোয়ারের ঘরে নিয়ে তাকে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। পরে স্বজনরা আনোয়ারের ঘর থেকে আজাদকে জীবিত মনে করে দ্রুত স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন- এমন খবরে হামলাকারীরা গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীরা ধাওয়া করে গ্রাম থেকে জমসিদ আলীর ছেলে নূর আলী ও ধারণ এলাকা থেকে মৃত মদরিছ আলীর ছেলে শাহ আলমকে আটক করে পুলিশের হাতে তোলে দেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, ওসি মোস্তফা কামাল, ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান, থানার এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই সৈয়দ আবদুল মান্নান, এসআই শামীম আকঞ্জিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। নিহতের মা রুপিয়া বেগম, ভাই জামাল আহমদ ও নিজাম উদ্দিন, ভাবি পারুল আক্তার অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে আবুল কালাম আজাদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটক রেখে পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শাহ আলম ও নূর আলী, আনোয়ার, আবুল, কবির, সিরাজ, মোহাম্মদ আলী, রেশমিনা বেগমসহ সবার দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানান। দু’জনকে আটকের কথা স্বীকার করে ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।