সিলেটের বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান বন্ধের দাবি মালিকদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০২০, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
প্রাইভেট হসপিটাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযানের নামে হয়রানি বন্ধে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার এসোসিয়েশনের নেতারা।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে এসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন ও গ্রহনের সময় সীমা ২৩ আগষ্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অথচ বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মেয়াদ থাকাবস্থায় পূনরায় নবায়নের জন্য ২০১৭/২০১৮ইং সালে আবেদন করা হয়েছে। আবেরদনকালে ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারী সকল ফি জমা দেওয়া হয়েছে। অথচ ৩ বছর ধরে নবায়নের জন্য অপেক্ষায় আছি আমরা। সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করে আসলেও মূলত অধিদপ্তরের কালক্ষেপনের কারণে আমরা নবায়ন নিয়ে বেকায়দায় পড়েছি।
সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি বলেন সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার এসোসিয়েশনের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাছিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান রোমান বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দূর্যোগকালীন সময়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করলেও আমাদের উপর নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করলে চলমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হবার আশংকা প্রকাশ করছি। স্বাস্থ্য বিভাগ লাইসেন্স নবায়নে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আবশ্যক করেছে, যা এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সময়ে সংগ্রহ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। এ ছাড়া প্রতিটি ছাড়পত্র ও নবায়নের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। অপরদিকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স ফি ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা ও প্রতি বছর নবায়ন ফি ৪০ হাজার টাকা, পাশাপাশি নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন ফি এক কালীন ৪০ হাজার টাকা ধার্য করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসকরা। সিলেটে ও চিকিৎসকসহ আমরা হারিয়েছি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও এম এ হকের মতো জননেতাদের। প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলোর উপর লাইসেন্স ও নবায়নের উপর বেঁধে দেওয়া সময় সীমা আরো বাড়ানোর পাশাপাশি অতিদ্রুত লাইসেন্স নবায়নসহ সকল কার্যক্রম তড়িৎ প্রদানের জন্য একটি টিম তৈরি এবং প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযানের নামে হয়রানী বন্ধে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডা. আব্দুল মুমিন।