কুলাউড়ায় নিখোঁজের তিন বছর পর প্রবাসী উদ্ধার: ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০২০, ৬:২৬ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক প্রবাসী নিখোঁজের তিন বছর পর পুলিশ উদ্ধার করেছে। আটককারী চক্র হঠাৎ তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে তাকে জানায় তার স্বামী জীবিত আছেন এবং তাকে মুক্ত করতে চাইলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
কুলাউড়া থানায় নিখোঁজ ইয়াকুব আলীর স্ত্রী একটি মামলা (নং-১২, ১৬.০৮.২০ইং) দায়ের করেন। পরে কুলাউড়া থানার পুলিশ কথিত অপহরণকারী আফসার হোসেন সাদ্দাম (৩০) এবং মো. তারেক মিয়া (২৪) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালে তাদের এত আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় নিখোঁজ হন সৌদি আরব প্রবাসী ইয়াকুব আলী (৫৫)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও এর বালিসিন্দ্রী গ্রামের মৃত আনিছ মোহাম্মদের ছেলে। অনেক খোঁজাখুজি করে তার ব্যক্তির সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং-৬৫৪, তারিখ ০৮.০৬.২০১৭ইং) করা হয়েছিল।
এজাহার থেকে জানা যায়, ইয়াকুব আলী নিখোঁজ হন ২০১৭ সালের ৮ জুলাই। পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা ইয়াকুব আলীকে অপহরণের সাথে গ্রেফতারকৃতরা জড়িত আছে। ইয়াকুব আলীর স্ত্রী, ৪ ছেলে ও দুই মেয়ে। গত ৫ আগস্ট রাত ৯ টা ২০ মিনিটের দিকে একটি ফোন আসে ইয়াকুব আলীর স্ত্রীর মোবাইলে। ইয়াকুব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম বলেন, ফোনে এক ব্যক্তি জানায় যে, ইয়াকুব আলী তাদের হেফাজেতে আছে। তাকে মুক্ত করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরে ফোন কলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
সময়ক্ষেপণ না করে কমলা বেগম তার সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে কুলাউড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে মোবাইল থেকে কল আসে, তাকে গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তির তথ্যানুসারে দ্বিতীয় আরেকজনকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রহিম সোমবার বলেন, ফোনে মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তিদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।