বালাগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২০, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন:
‘‘মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় ৭দিনের (২১-২৭ জুলাই) কর্মসূচি পালিত হয়।
তন্মেধ্যে, ১ম দিনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে সমস্ত উপজেলায় মাউকিং এবং ব্যানার ফেষ্টুন এর মাধমে ব্যাপক প্রচারণা করা হয়েছে। ২য় দিনে মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রর্দশন দেখানো হয়েছে।
৩য় দিনে মাছের ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান। মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তাবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু কোন পজেটিভ ক্ষতিকর রাসায়নিক মাছ পাওয়া যায়নি। ৪র্থ দিনে মাছ চাষিদের মাছচাষ বিষয়ক নিবিড় পরামর্শ সেবা প্রদান, পুকুরের মাটি, পানি পরীক্ষা। ৫ম মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন দেখানো হয়েছে উপজেলার বোয়ালজুর বাজারে। ৬ষ্ট দিনে চাষি/ সুফলভোগীদের মাঝে মাছচাষের বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। উপকরণের মধ্যে ছিল চুন, সার, বাসমান খাবার, ফলজ ও বৃক্ষ।
সমাপ্ততম দিনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মত বিনিময় এবং মৎস্য সপ্তাহের সমাপ্তি ঘোষনা।
ভার্চুয়াল কনফারেন্সিংয়ে, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম সভাপতিত্বে ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সহ অন্যান্যরা।
এসময় অথিতিরা বক্তব্য রাখেন, সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য খাতে ২য় স্থানে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আকাংখা ১ম স্থান লাভ করার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আকাংখা পূরণ করতে আমাদের প্রচুর পরিমানে কাজ করতে হবে। তারা আরও বলেন, বছরের শুরুতে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ্য মাসে ষৌল ও টাকি মাছের পোনা যদি না মারা হয় তাহলে, এগুলা বড় হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সহযোগীতা হতো, সাময়িক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত এবং ফ্রেস আমিষ পাওয়া যেত।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, উপজেলা প্রশাসন যদি আমাদের সার্বিক সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন। তাহলে প্রত্যেক মৎস্য দপ্তর থেকে শতভাগ কাজ করার সফলতা আসবে বলে আশ্বাস দেন নির্মল চন্দ্র বণিক।