‘জামাই’ সাহেদের সন্ধানে তৎপর সিলেটের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুলাই ২০২০, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
দেশজুড়ে আলোচিত সাহেদ করিম বিয়ে করেছেন সিলেটে। সিলেটি এই ‘জামাই’য়ের সন্ধানে তৎপর এখন সিলেটের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও। রোববার সাহেদ করিমের শ্বশুরবাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একটি টিম যায়। তবে র্যাব ও পুলিশের দাবি ওই টিম তাদের নয়। অন্য কোনো সংস্থার হতে পারে। ওই টিম সাহেদের শ্বশুরবাড়ির স্থানটি পরিদর্শন করেই চলে যায়।
দেশ কাঁপানো জঙ্গি আস্তানা আতিয়া মহলের কাছেই সাহেদের শ্বশুরবাড়ি। নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ সুরমার ওই এলাকা পাঠানপাড়া নামে পরিচিত।
সাহেদের স্ত্রীর বড় ভাই ফেরদৌস আরাবি রোববার রাতে যুগান্তরকে বলেন, আমাদের বাড়িতে একটি টিম গেছে বলে খবর পেয়েছি। তবে কারা তারা সেটা জানি না। কারণ আমি ওখানে থাকি না। বাসা নিয়ে নগরীর উপশহরে থাকি।
তিনি বলেন, সিলেটে সাহেদের আসা-যাওয়া থাকলেও বাসায় তেমন আসেন না। ফোনে যোগাযোগ হয় এটুকুই।
গত সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময়ে সিলেটে আসার কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, সিলেটে তার অনেকেই আছেন। থাকা-খাওয়ার জন্য আমার বাসায় আসার দরকার হয় না। সাহেদের ঘটনার পর থেকে বড় বিব্রতকর অবস্থায় সময় কাটছে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করে দক্ষিণ সুরমার কয়েকজন জামাই সাহেদ করিমের ব্যাপারে কিছু তথ্য দেন। তারা জানান, মহামারী করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট জালিয়াতির মূল হোতা সাহেদ করিম দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। সাহেদের স্ত্রী সাদিয়া আরাবি রিম্মিরা দুই বোন। তাদের মা দুই বোনকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। সিলেট মেট্রোপলিটনের মোগলাবাজার থানাধীন পাঠানপাড়ায় তাদের বাড়ি।
সাদিয়া আরবি রিম্মির পিতার নাম ইয়াসিন আরাবি। তিনি সরকারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যান।
ইয়াসিন আরাবির স্ত্রী- রিম্মির মা সাহিদা আরাবি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজক। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি দুই কন্যা সন্তান-রিম্মি ও শাম্মীকে রেখে ঢাকার এক শিল্পপতিকে বিয়ে করে চলে যান। তবে, মেয়ে রিম্মি ও শাম্মী থেকে যান পিতা ইয়াসিন আরাবির বাসায়।
স্থানীয়রা আরও জানান, সাহেদ করিমের সঙ্গে বিয়ের আগে আরেকবার বিয়ে হয়েছিল সাদিয়া আরাবি রিম্মির। সেই স্বামীর ঘরে সাদিয়ার এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। সাহেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠলে কন্যা সন্তান রেখেই সাহেদের কাছে চলে যান রিম্মি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। এমন কিছু ঘটলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিব।
র্যাব-৯-এর দায়িত্বশীলরা জানান, এ ব্যাপারে তারা অবগত, তবে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে তারা নারাজ।