পৃথিবীর প্রথম কুরআন পার্ক : এই অনুপম মিলনকেন্দ্র সম্পর্কে আমরা জানি কী?
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০২০, ৯:২৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
আমরা এতদিন বিভিন্ন পার্কের কথা শুনেছি। সেগুলো কোনোটি স্থানীয়, কোনোটি বিনোদন পার্ক আবার কোনোটি আমোদ প্রমোদে ভরপুর সব রাইড এ পরিপূর্ণ। এতকিছু বাদেও পৃথিবীর সর্বপ্রথম কুরআন পার্ক সম্পর্কে আপনি শুনেছেন কি?
পার্ক সম্পর্কে কিছু কথা
এটি আল-কুরআন পার্ক নামেও পরিচিত। দুবাইয়ের আল-খাওয়ানিজে এটি অবস্থিত। অনিন্দ্য এই স্থানটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ। ৬৪ হেক্টরের বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি এই কুরআন পার্কের উদ্দেশ্য হলো দর্শনার্থীদেরকে কুরআনে উল্লেখিত বিভিন্ন উপমা ও বৈশিষ্ট্যের আলোকে ইসলামের অলৌকিক দিকগুলো সম্পর্কে জানানো।
সব ভ্রান্ত ধারণার অবসান ঘটিয়ে সকল বিশ্বাসের মানুষের কাছে ইসলামের গভীরতা এবং সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাসের সেতুবন্ধন রচনা করাই এই পার্কের মূল লক্ষ্য।
আপনি এখানে কী কী পাবেন?
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে কুরআনে উল্লেখিত গাছগুলো নিয়ে একটি ইসলামিক বাগান এখানে গড়ে তোলা হয়েছে। মূলত মানুষকে এই গাছগুলোর সাথে পরিচিত করানোই এর উদ্দেশ্য। ডুমুর, ডালিম, জলপাই, ভুট্টা, তেঁতুল, গম সহ কুরআনে উল্লেখিত প্রায় ৫৪ ধরনের গাছ এখানে দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন৷ এই গাছগুলো একটি কাচের ঘরের মাঝে রাখা যাতে দর্শনার্থীরা এগুলো বাইরে থেকে উপভোগ করতে পারেন।
এছাড়াও এই পার্কে শিশুদের খেলার জন্য আলাদা স্থান রয়েছে যা সকলের জন্য উন্মুক্ত।
কুরআন পার্কের পুরো এলাকাতে ইসলামের কিছু অলৌকিক ঘটনা কিংবা পরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গুহার মধ্যবর্তী সুড়ঙ্গ দিয়ে অতিক্রমকালে ক্ষীণ আলোর মায়াময় পরিবেশ যেন কুরআন নাজিলের সেই সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। দর্শনার্থীদের জন্য এটি একটি বিশেষ আকর্ষণ। হলোগ্রাম এবং প্রজেক্টরের পর্দায় দেখানো হয় কীভাবে, কোথায় এবং কখন ইসলামের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল।
কুরআন পার্কের দর্শনীয় বস্তুর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ঝর্ণা, পানির ফোয়ারা, সৌর গাছ, একটি থিয়েটার, মরুদ্যান, একটি উমরাহ কর্ণার এবং তিন ধরনের রাস্তা।
ইসলামের বেশ কিছু ইতিহাস, নবী-রাসূল এবং তাদের কিছু অলৌকিক নিদর্শনের স্থাপত্য হিসেবে ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিকভাবে পার্কটি সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তোলা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এ পার্কটির মাধ্যমে ইসলামের সাফল্যকে সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিকভাবে তুলে ধরার কাজও রয়েছে অব্যাহত।