নগরীতে ঢুকছে সুরমা নদীর পানি: টানা বৃষ্টিপাত
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জুলাই ২০২০, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেট নগরীতে ঢুকছে সুরমা নদীর পানি। শনিবার (১১ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এ চিত্র লক্ষ করা গেছে। সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, কলোনী,বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উঠেছে বন্যার পানি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসিকে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে নগরীর বিভিন্ন ছড়া, খাল ও ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ে সুরমা নদীতে। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠেছে। তাই নদীর পানি প্রাকৃতিকভাবে কমে গেলে নেমে যাবে এসকল পানি।
অপরদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে আগামী তিন চার দিন সিলেটে বৃষ্টিপাত হবে। আর আগামীকাল রোববার(১২ জুলাই) একটু বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সুরমা নদীর পানি আরো বাড়তে পারে।
দেশের দীর্ঘতম নদী সুরমা। সুরমা নদীতে এসে মিশেছে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদী ও খাল-বিল। ফলে এসকল নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি পড়ছে সুরমা নদীতে। তাছাড়া গত দুই দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে পানিতে টুই-টুম্বর হয়ে উঠেছে সুরমা নদী। আর সিলেট নগরীর প্রায় সকল এলাকার ছড়া, খাল ও ড্রেনের পানি এসে পড়ে সুরমা নদীতে। কিন্তু বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সকল ছড়া, খাল ও ড্রেনে পানি নদীতে না পড়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে ঢুকছে নগরীরর বিভিন্ন সড়ক ও বাসা বাড়িতে। ফলে আকস্মিক ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসি।
সিলেট নগরীর ছড়ারপাড়, মাছিমপুর, শেখঘাট, কাজির বাজার, তালতলা, জল্লারপার এলাকার একাধিক কলোনী ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টান ও সড়কে উঠেছে পানি। এসকল পানি ড্রেনের মাধ্যমে উঠার কারণে অনেকের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎকন্ঠা। বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্টানে পানি থাকার বিষয়ে একাধিক নগরবাসি জানান, যে সকল পানি বর্তমানে উঠছে বা জমে গেছে তা হলো ড্রেন ও ছড়ার ময়লা পানি। এসকল পানিতে প্রচুর ময়লা-আর্বজনা রয়েছে। আর দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে ওই পানি থেকে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ হতে পারে।
এদিকে, শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর ব্যস্ততম তালতলা গুলশান হোটেলের নিচতলায় পানি উঠতে দেখা গেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তাদের হোটেল গেষে যাওয়া খালটির পানি সুরমা নদীতে গিয়ে পড়তো। বর্তমানে খালটি পানিতে ভরপুর হওয়ার কারণে হোটেলে পানি ঢুকেছে। একই চিত্র লক্ষ করা গেছে জামতলা সড়কে। সেই সড়কটিতে পানি জমে আছে, আর আশপাশের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকছে। এমন চিত্র রয়েছে শেখঘাট, ছড়ার পার, মাছিমপুর ও সুরমা নদীর উত্তর এবং দক্ষিণ পাশে অবস্থিত বিভিন্ন সড়ক, বাসা-বাড়ি ও কলোনীতে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানান, আগামীকাল রোববার সিলেটে একটু বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে রোববারের পর থেকে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কমে যাবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পানি নদীতে পড়ছে না। উল্টো নদী থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকছে। তাই প্রাকৃতিকভাবে নদীর পানি না কমলে নগরী থেকে পানি নামবে না।