ঝুঁকিতে ওসমানীনগরের তিন লক্ষ মানুষ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০২০, ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের ওসমানীনগরে করোনা উপসর্গ ও করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আসা মানুষের নমুনা সংগ্রহ গত ২৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। উপজেলার একমাত্র নমুনা সংগ্রহের সেন্টার তাজপুর কদমতলাস্থ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংস্কার কাজের জন্য গত ১০ জুন থেকে নমুনা সংগ্রহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত ওসমানীনগরে নমুনা সংগ্রহের কাজ বন্ধ থাকবে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানালেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। মহামারি করোনাকালীন দুর্যোগের সময় ওসমানীনগরে বিকল্প উপায়ে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে তিন লক্ষ মানুষের জন্য একটি মাত্র নমুনা সংগ্রহের সেন্টার সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের এমন দায়িত্বহীনতা ও কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তে কারণে করোনা ঝুঁকিসহ দুর্ভোগের মধ্যে পরেছেন উপজেলার মানুষ। নিজ উপজেলায় নমুনা প্রদানের সুযোগ বন্ধ থাকায় উপজেলার ব্যাপক সংখ্যক মানুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে থাকলেও পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিতে হয় এর জন্য অনেকেই নমুনা প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন। ওসমানীনগরে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন। এই অবস্থার মধ্যে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় করোনা পরিস্থিতি এই উপজেলায় ভয়াহত আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকেরই আশংকা।
উপজেলা গঠনের ৬ বছর হয়ে গেলেও ওসমানীনগরে এখন পর্যন্ত পদায়ন হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ, নেই উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ওসমানীনগরের দায়িত্বে থাকলেও তিনিও দায়িত্ব পালন রয়েছন দায়সারা ভাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা.এসএম শাহরিয়ার বলেন, সংস্কার কাজের জন্য তাজপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গত ১০ জুন থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে যারা নমুনা প্রদান করতে ইচ্ছুক তারা বালাগঞ্জ হাসপাতাল অথবা সিলেট শামসুদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিতে হবে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, কথা ছিলো গত ৩০ জুন থেকে পুণরায় নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র চালু রাখার। কিন্তু কেন এখনো সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি আমি দেখছি।