সুপারক্রিট সেতুতে ভাগ্য বদল বাংলাবাজার এলাকাবাসীর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুন ২০২০, ৫:৫২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলের কারণে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সাধারণ মানুষের জীবনের স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট এই বন্যার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের মহামারি জনজীবনকে করে তুলেছে বিপন্ন। দোয়ারাবাজারের বাংলাবাজার ইউনিয়নের মানুষ বন্যার এই সময়টায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। তবে এবারের বন্যায় তাদের চিত্রটা একটু ভিন্ন। একটু সেতু বদলে দিয়েছে তাদের ভাগ্য। গিলাতলী খালের উপর নির্মিত সুপারক্রিট সেতুর কল্যাণে ঝুঁকিবিহিন ভাবে দোয়ারাবাজারে আসা যাওয়া করতে পারছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় বছর দেড়েক আগে দেশের অন্যতম বৃহৎ সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ নিজেদের উদ্যোগে এলাকাবাসীর জন্য এই ব্রিজটি নির্মাণ করে দেন।
বাংলাবাজার ইউনিয়নের কামরুল হাসান জানান, এখন খরস্রোতা এই খাল পার হতে ভেলা বা নৌকা ব্যবহার করতে হয় না। আগে আমাদের অনেক কষ্ট হতো এবং ঝুঁকি নিয়ে এই খাল পার হতে হতো আর এখন দিন রাত যেকোনো সময়ে নিরাপদের প্রয়োজনীয় কাজ আমরা সারতে পারছি।
একই ইউনিয়নের শামসুদ্দিন জানান, আগে অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমরা এই খাল পার হতাম। আমাদের সন্তানেরা স্কুলে যেতে পারত না। গেলেও স্কুলের ড্রেস ভিজে যেত। নানাবিধ সমস্যা ছিল। গ্রামের নারীরা খাল পার হতে গেলে তারাও ভিজে যেত, কিন্তু ব্রিজ হওয়ার পর আমরা খুব সহজে আমাদের কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারছি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে এই ব্রিজ এর কারণে প্রত্যক্ষভাবে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় বারো হাজার সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন এবং এই ব্রিজ নির্মাণের জন্য লাফার্জহোলসিমকে তারা ধন্যবাদ জানান।
এ ব্যাপারে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের চীফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার আসিফ ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বর ২৭ তারিখে এই ব্রিজটি সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় নির্মিত এই ব্রিজটি ৩২ মিটার লম্বা এবং ৫ মিটার চওড়া। লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই ব্রিজটি নির্মাণ করেছে।