শাবির ল্যাবে ২৬ জন, আক্রান্ত সবাই সুনামগঞ্জের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুন ২০২০, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সুনামগঞ্জে নতুন করে আরও ৩২ জনের দেহে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সনাক্ত হয়েছে । রোববার (২৭ জুন) রাতে ২৬ জন আক্রান্তের মধ্যদিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯৭৭ জনে।
শনিবার রাতে ৩২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসলেও ৮ জন পুরনো রোগীর ছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে শনিবার রাত পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৫১ জন।
রোববার (২৭ জুন) রাত সোয়া ১০ টায় সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাতে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে থেকে ২৬ জনের টেস্টের ফলাফলে করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দড়িয়েছে ৯৭৭ জনে। তবে নতুন পজেটিভ আসা ২৬ জনের মধ্যে কতজন পুরনো রোগী তাৎক্ষণিকভাবে তা বলা যচ্ছে না বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছাতক উপজেলায় ১২ জন, সদরে ৭ জন, দোয়ারাবাজারে ৩ জন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৩ জন ও দিরাই উপজেলায় ১ জন রয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব থেকে রোববার রাত ২৬ জনের পজেটিভ এসেছে। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯৭৭ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। মৃত্যুবরণকারিদের মধ্যে ১ জন দক্ষিণ সুনামগঞ্জের, ১ জন জামালগঞ্জের ও ৩ জন ছাতক উপজেলার বাসিন্দা।
করোনা আক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিজ নিজ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ও অন্যান্যরা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আইসোলেশনে থাকা সকল করোনা রোগী মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে আছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন।
এদিকে, সোমবার (২২) বিকেলে লালন মিয়া (৪৯) সিলেট শহীদ শামসুদ্দীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। লালন মিয়া জেলার উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্যাহ্মণগাঁও (পশ্চিমপাড়া)গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ৭ জুন (রোববার) করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যান জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারের পঙ্কজ পাল চৌধুরী। ওইদিন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে স্বজনরা প্রথমে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনাভাইরাসের নমুনা রেখে তাকে সিলেট রেফার করেন। ওইদিন সিলেট যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে বৃহস্পতিবার তার করোনা টেস্টের ফলাফল পজেটিভ আসে। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগী ভোছিলেন বলে জানাগেছে।
৬ জুন (শনিবার) ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ছড়ারপাড় (গণেশপুর) নিজ বাড়িতে মারা যান হিরা মিয়া। ৪ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে সিলেট নর্থ-ইস্ট মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একই উপজেলার বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী পিয়ারা মিয়া। ১ জুন (সোমবার)দুপুরে সিলেট শামস উদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একই উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের রাউলী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হক।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত হন এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। তবে তিনিই প্রথম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।