বড়লেখায় ঘর হারানো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লায়লা বেগমের পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২০, ৭:৪০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
বড়লেখার লায়লা বেগমের অভাবের সংসার, করোনাকালে কোনোমতে চলছিল তাঁর পরিবার। এর মধ্যে গতকাল বুধবার ঝড়ে ট্রান্সফরমারসহ বিদ্যুতের একটি খুঁটি পড়ে লায়লা বেগমের একটি বসতঘর একেবারে ভেঙে যায়। ঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন লায়লা। তিনি পরিবার নিয়ে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন।
খবর পেয়ে লায়লা বেগমের পাশে দাঁড়ায় উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমারন লায়লা বেগমের বাড়িতে ছুটে যান। এসময় তিনি লায়লা বেগমের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি পেয়াজ এবং ১ কেজি তেল এবং ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে লায়লা বেগমকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন। এসময় ইউএনর সঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উত্তর শাহবাজপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেলিম খান উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমারন বলেন, ঝড়ে বৈদ্যুতিকে একটি খুঁটি পড়ে লায়লা বেগমের ঘর ভেঙে গেছে। তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি মহোদয়ের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় লায়লার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। লায়লা বেগম একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তাঁকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঝড়ে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের করমপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সিঙ্গেল ফেজের একটি লাইনের ওপর গাছ পড়ে। লাইনের ওপর গাছ পড়লে অদূরে লয়লা বেগমের বসতঘর ঘেঁষা ১০ কেভি ট্রান্সফরমারসহ খুঁটি ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে। এতে বসতঘরটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা বাসিন্দারা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসেন। অল্পের জন্য রক্ষা পান বাসিন্দারা। তবে বের হতে গিয়ে পরিবারের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুত সমিতি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের এলাকা ঝুঁকিমুক্ত করে। তবে এখনও ভাঙা খুঁটিটি ঘরের ওপর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়নি।