সাগর সীমান্তে : (খন্ড-০২)
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০৯:২৬,অপরাহ্ন ১৭ মে ২০২০
সাজিদ মোহাম্মদ:
কথাটা শুনে মাটিতে বসে যাই, মাথা কি করে বুঝো উঠতে পারিনা, চিৎকার দিয়ে বলি আপনি ছবিটা ডিলেট দিতে পারলেন না।
একথা বলতে কী সাথে নিয়ে আসলেন?
ততক্ষণে চায়ের কাপ টা ফ্লুরে পড়ে ভেঙে গেছে। কবি তো দেখছেন মাত্র একটি চায়ের কাপ। আসলেই কি শুধু চায়ের কাপ?
কবি বলতে চাইলেন-আমি তো আছি ভরসা রাখতে পারিস না আমার ওপর।
ভরসা রাখবো?
সত্যি?
আমি জানি কবির ভরসা আমাকে শান্ত করে রাখতে পারে। ব্যাকুল না হবার পরিকল্পনার পর পরিকল্পনা আসতে পারে,সীমানাকে পাওয়া আর হয়ে উটবে না।
কবি বলতে থাকেন- হৃদয়কে সব বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতে তো পারি।
যদি কিছু না হয় সইতে পারবো না,বলে দিলাম।
আচ্ছা বাবা আস্তে কথা বল বসায় লোকজন আছেন তো? কবি আমি চলে যাবো একাই?
বাড়ি তো চিনি।
মাথা গরম করলে হয় না।
আগে সীমানার সাথে কথা বল, বিষয়টা কি বিষয়টা কতোদূর বুঝতে চেষ্টা কর।
ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম, কবি পিছু নিয়েছেন দেখলাম। সুইমিংপুল এর পাশে বসে আছি। গভীর মনে কি যেন ভাবতে ইচ্ছে করছে। কি ভাবতে চাই তা যেন বলতে পারছি না।
ফোনে রিং ভেজে উঠলো। তোমাকেই ফোন দিতাম। আগে বলো আমার কাছ থেকে এত কিছু লুকানোর কি ছিলো? আমার হাতের তুলা ছবি মানুষের কাছে দেখতে হয়?
তাও যেন বিয়ের জন্য পাত্রির বিজ্ঞপ্তি।
আমি কিছুই জানতাম না এখন শুনেই বিষয়টা জানাতে ফোন দিলাম।
আমি কিচ্ছু জানিনা যা করার তুমি করো। পরিবারের সাথে আর যুদ্ধ করতে পারছি না ।
হ্যাঁ, আমি করবো সবসময়ই তো আমাকে করতে হয় এবার ফাইনাল একটা কিছু করে ছাড়বো। তুমি শুধু পাশে থেকো ওরা কনে দেখতে আসলে একদিন রেডি হবে না।
ভালো থেকো।
সব কথা শুনলাম। সব কথা শুনে আপনার কি হবে?
ফোনটা লাউডে ছিলো শুনার জন্যই।
তোদের কথা শুনে বুঝা গেলো এ ধরনের কন্যাদেখা গল্প আরো অনেক হয়েছে।
হ্যাঁ হয়েছে?
এবং সাকসেসও হয়েছি।
তাহলে আজ একটা পর্ব শুনা। কাল হৃদয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।
সাগর একটু দোকানে যাই চল। টঙ চা ছাড়া কথা ঠিক জমে না। কিছুক্ষণ পর অনানটাইম গ্লাসে করে চা নিয়ে হাজির।
ধূমপান করে এসেছি,এসব ঠিক না বলে মাথা নাড়লেন।
যাই হয়ে যাক নিজেকে খারাপ পথে নেয়া যাবে না,স্যরি।
তখন মাত্র ইন্টার প্রথম বর্ষে পড়ি…চলবে