সিলেটে স্টিয়ারিং হাতে হেলপার, দুমড়েমুচড়ে গেল মোটরসাইকেল!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ মে ২০২০, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট নগরে লকডাউনে বাস চালাচ্ছিলেন হেলপার। রাস্তা খালি থাকায় কিছুদূর গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেন না তিনি । রং সাইডে গিয়ে চাপা দিলেন বিপরীত দিক থেকে আসা দুই আরোহীবাহী একটি মোটরসাইকেলকে। এতে অল্পের জন্য তারা প্রাণে বাঁচলেও বাসের চাপায় দুমড়েমুচড়ে মোটরসাইকেল।
এ দৃশ্য দেখলে মনে হবে মোটরসাইকেল আরোহী বেঁচে নেই। কিন্তু না, এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন তারা। প্রাণ বাঁচাতে লাফিয়ে পড়েন রাস্তার পাশে। আর মোটরসাইকেলের স্থান হয় বাসের চাকার নিচে।
সোমবার (৪ মে) বিকেল ৫টায় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লকডাউনেও সিলেট শহর থেকে বের হচ্ছিলো বাসটি। সুমন নামে এক হেলপারের হাতে ছিল বাসের স্টিয়ারিং। ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডান পাশে চলে যায় বাসটি। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দুই মোটরসাইকেল আরোহী অল্পতে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হন। আর বাসের নিচে চাপা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহী হলেন আব্দুল মোমিন (২৫) ও আশরাফুল ইসলাম (৩০)। তারা দু’জনই সিলেটের শহরতলীর টুকেরবাজার খালিগাওয়ের ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, চালক বিহীন বাসটি (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৯৬২৪) হেলপার ড্রাইভিং শিখতে বের হয়ে দুর্ঘটনা ঘটান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন বলেন, নগরের টুকেরবাজার এলাকায় একটি দোকানে মাস্ক সরবরাহ করে শহরে ফিরছিলাম। ঘটনাস্থলে আসা মাত্র আচমকা বিপরীত দিকে থেকে আসা বাসটি রং সাইডে এসে আমাদের চাপা দিতে গেলে লাফ দিয়ে পড়ে যাই। ভাগ্য ভালো মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলাম। আর আমার মোটরসাইকেলটি বাসের চাপায় দুমড়েমুচড়ে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে মহানগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুঘর্টনা কবলিত বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওকিল উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর হেলপার পালিয়েছেন। তবে বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।