মাধবপুরে বাঁশের সাঁকোতে চাঁদা!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২০, ১০:১১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের মাধবপুরের শাহজাহানপুর ইউনিয়নে নোয়াহাটি মনতলা রোডের সিমনাছড়া এলাকায় একটি বিকল্প সড়ক ভেঙ্গে গেছে গত তিন দিন আগে। এতে করে মাধবপুর উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলের যোগাযোগের নোয়াহাটি মনতলা সড়কটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী লোকজন দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারকারি লোকজনের নিকট থেকে ১০টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে মনতলা রোডের সিমনাছড়ার উপর নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য পুরনো ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পুরনো ব্রিজের পাশ দিয়ে বিকল্প একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিকল্প সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য দুটি পাইপ দেওয়া হলেও অতিরিক্ত পানি স্রোতে সড়কটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায়।
এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. জুলফিকার হক চৌধুরী বলেছেন, দুই এক দিনের মধ্যে পানি কমে যাবে। তখন আবার বিকল্প সড়কটি নির্মাণ করে ব্রিজে কাজ শুরু করা হবে। তবে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে কে বা করা চাঁদা আদায়ে করছে সম্পর্কে কিছু জানি না।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা ও শাহজাহানপুর ইউনিয়নের শতশত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। এই ভোগান্তির জন্য এলাকাবাসী সিমনাছড়া ব্রিজের নির্মাণ কাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ি করছেন।
ঠিকাদার আবুল কাসেম জানান, পানি কমে গেলে বিকল্প সড়কটি মেরামত করা হবে। ইঞ্জিনিয়ারের অসহযোগিতার কারণে ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করা যাচ্ছে না। তবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চাঁদাবাজির কথা তিনি কিছু জানেন না।
শাহজানপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তৌফিক আলম চৌধুরীর বাড়ি থেকে দের কিলোমিটার দূরে ব্রিজটি দুইদিন যাবত চাঁদাবাজি হচ্ছে অভিযোগ করেছেন অনেকই। এ ব্যাপারে তাকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এলাকার সচেতনমহল পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে একটি সংযোগ সড়ক পুনরায় নির্মাণ করে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু ও বাঁশের সাঁকো পারাপারে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।