‘মানবতা ছড়িয়ে পড়ুক বালাই হাওর থেকে বিশ্বময়’
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০২০, ২:২০ অপরাহ্ণ
সালমান ফরিদ:
অনেক মানুষ! ত্রাণ নিচ্ছেন! কারও মাথায় টুপি নেই, মুখে দাড়ি নেই। সাদা ধবধবে পাঞ্জাবিও নেই! ১ বা ২ টা নয়! ১৭৭ টি পরিবার! আর ওই যে, যারা দিচ্ছেন, ভাল করে খেয়াল করেন। তারা টুপি-পান্জাবী পড়া! কিছু কি অনুমান করতে পারলেন? এখনও স্পষ্ট নয়?
তাহলে শুনুন! যারা টুপি-দাড়িওয়ালা বা পাঞ্জাবি পড়া নয়, ত্রাণ নিচ্ছেন, তারা তা পড়ার কথাও নয়। কারণ, তারা সবাই অন্য ধর্মের মানুষ। পুরো ১৭৭ টি পরিবারই হিন্দু ধর্মের অনুসারী! আর যারা দিচ্ছেন! আমি তাদের কথা বলছি, যারা টুপি-পান্জাবী পড়া; তারা মুসলমান, ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তবে এখানে পোশাকী ধর্মের পরিচয়ে নয়। শতভাগ ‘মানবধর্মের’ পরিচয়ই বড় হয়ে উঠেছে। আর কারা তা করেছে জানেন? সেই হুজুররা। এরা কারা জানেন? সেই মানবতার ফেরিওয়ালা ফুলতলী সাহেবের উত্তরসুরীরা! ছবিগুলো তাদের বাড়ি থেকেই নেয়া।
লতিফি হ্যান্ডস এর ব্যবস্থাপনায় মানবতার এই জয়গান গাওয়া হচ্ছে! যে ফুলতলী সাহেবের বড় ছেলের কাছে মানুষের প্রধান পরিচয় সে মানুষ! প্রত্যেককেই তিনি মহান আল্লাহ পাকের মায়ার সৃষ্টি মানুষ হিসেবেই দেখেন, মূল্যায়ন করেন। মানবসেবার সময় কখনই তিনি ধর্মের আবরণে আচ্ছাদিত হয়ে যান না। এটি কদাচিত নয়, বরং সব সময়! সবখানে।
আচ্ছা, কেউ কি বাংলাদেশের আর কোথাও— বাদ দেন বাংলাদেশ! ভারত বা ভারতীয় উপমহাদেশের আর কোথাও এমন ছবি দেখাতে পারবেন যে, ত্রাণ দিচ্ছেন যারা তারা ধুতি পড়া আর যারা নিচ্ছেন তাদের শতভাগ টুপি-দাড়িওয়ালা? দেখাতে পারবেন না!
কেননা, এটি একটি জায়গায়ই কেবল সম্ভব! যেখানে মনুষ্যত্ব আগে। মানুষ আগে। মানবতা আগে! ধর্ম মানবধর্মকে পরাজিত করতে পারে না! সেখানেই এই দৃশ্য সম্ভব! কিন্তু এটি সর্বত্র সহজলভ্য নয়!
মানবতা ছড়িয়ে পড়ুক বালাই হাওর থেকে বিশ্বময়…
লেখাটি সাংবাদিক সালমান ফরিদের ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহিত