করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে সিলেট, লকডাউনেও বাজার-ব্যাংকে উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মে ২০২০, ১০:৪২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মানুষকে সুরক্ষায় লকডাউন ঘোষণা করে সিলেটে জেলা প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যানবাহন চলাচলেও রয়েছে বাধা নিষেধ। কিন্তু এ অবস্থায় জেলার ব্যাংক পাড়া লোকে লোকারণ্য।
কেবল ব্যাংক নয়। নগরের কাঁচা বাজার ও সবজি মার্কেটেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে। করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার কথা থাকলেও এর প্রতিফলন হচ্ছে না ব্যাংক পাড়া ও হাট-বাজারে।
রোববার (০৩ এপ্রিল) সিলেটের সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকে মানুষের ভিড় লক্ষ্যণীয় ছিল। এছাড়া সওদা কিনতে সড়কের পাশের বাজারগুলো ছিল যেন লোকে লোকারণ্য।
এদিন ব্যাংক খোলার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন গ্রাহকরা। কথা বলে জানা গেছে, অনেকে ব্যাংক খোলার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টার আগেই লাইনে এসে দাঁড়ান।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরের বারুতখানা ডাচ বাংলা ব্যাংকে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গ্রাহকরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা উত্তোলনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। একই অবস্থা ছিল নগরের তালতলা ইসলামী ব্যাংকে। গ্রাহকরা ফুটপাতে লাইনে অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা গেছে। আর নগরের জিন্দাবাজার সোনালী ব্যাংকের করপোরেট শাখায় প্রতিটি সেবা শাখায় রীতিমত লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। গ্রাহকদের ভিড় সামলাতে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হয়।
এছাড়া নগরের লালদিঘীর পাড় ও কালিঘাট এলাকায় নিত্যপণ্য কিনতে ছিল সহস্রাধিক মানুষের আনাগোনা। শারীরিক দূরত্ব মানা দূরে থাক, অধিকাংশ লোকজন নিজেদের সুরক্ষায় মুখে মাস্কও ব্যবহার করেননি। ফলে মানুষকে শারীরিক দূরত্ব মানাতে প্রশাসনও যেন অপারগ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরপরও শারীরিক দূরত্ব না মানা বা ঘরে না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যাংক বা হাট-বাজার বলেন, এদের মধ্যে কেউ একজন আক্রান্ত হলে আরও ১০ জন সংক্রমিত হবেন। এভাবে চলতে থাকলে করোনা মোকাবিলার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।