করোনার প্রবল ঝুঁকিতে সিলেট অঞ্চলের “হবিগঞ্জ”
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত জেলা হবিগঞ্জ। প্রতিদিন এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। মৃত্যু হিসেবও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে এক শিশুর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
জেলার অন্যতম একটি উপজেলা শায়েস্তাগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ করোনার ক্লাস্টার এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন জায়গার সিলেট বিভাগের যোগাযোগে শায়েস্তাগঞ্জের উপর দিয়ে যেতে হয়। অথচ এ উপজেলায় সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। পণ্যপরিবহনের গাড়িতে এখন হচ্ছে যাত্রী পরিবহন। সকল যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষ এখন ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যানকে যাত্রীবহন গাড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফলে করোনা সংক্রমিত হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় দেখা দিয়েছে করোনার প্রবল ঝুঁকি।
সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করেছে, সেখানে চালকরা বাড়তি টাকার লোভে পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী বহন করছেন। আর যাত্রীরাও গাদাগাদি করে চড়ছেন এসব পরিবহন।
এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অনেকগুলো কোম্পানি চালু থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালবাহী এসব গাড়িতে যাতায়াত করছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সারাদিন ধরেই সুযোগ বুঝে বুঝে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে অবাধে যাত্রী বহন করছে বিভিন্ন পণ্যবহন করা গাড়িগুলো। এসব গাড়িতে গাদাগাদি করে চড়ছেন সাধারণ সাধারণ মানুষ। বাদ পড়ছেন না নারীরাও, তারাও শিশুসহ চড়ছেন এসব গাড়িতে। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানির শ্রমিকদেরকেই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ দেখভাল করে হাইওয়ে ও চুনারুঘাট থানা পুলিশ। আমার এরিয়ার মহাসড়কের পয়েন্টে পয়েন্টে আমাদের চেকপোস্ট বসানো আছে। এবিষয়ে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে। আইন অমান্যকারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মহাসড়কে পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।