করোনা: সিলেট সাবরেজিস্টার অফিসের অস্থায়ী নকল নবীশদের পাশে কেউ নেই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০২০, ১০:৩১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
করোনা ভাইরাস যে এক মহা সংকটময় অবস্থার নাম তাহা দেশের সর্বস্তেরর মানুষ বুজতে পারছে।বিশেষ করে বুঝতে পারছেন দিন মজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ গুলা।সেই সুবাদে ভালো নেই সিলেট সাবরেজিস্টার অফিসের অস্থায়ী নকল নবীশরা (রেকর্ডের বালাম লেখক)।
করোনাভাইরাসে কারনে গত দুই মাস থেকে অফিস বন্ধ, লকডাউন ঘোষনা, অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন সিলেট সাবরেজিস্টার অফিসের অস্থায়ী নকল নবীশরা ।
অস্থায়ী নকল নবীশ বলতে দুই চার বছররের জন্য কাজ করেন এমন মনে হতে পারে।না যোগের পর যোগ কাজ করেও স্থায়ী হয়নি এই নকল নবীশদের কর্মস্থল।যা এই বাংলাদেশের কোন কর্মস্থল এতদিন অস্থায়ী হিসাবে আছে বলে নজর বিহীন।।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস একটা দুর্যোগের নাম টিকই,কিন্তু অসহায় আর দিনমজুর মানুষের পাশে সরকার সহ দেশের ভিবিন্ন বিত্তবান লোকেরা দাড়ালেও সিলেট জেলার সাবরেজিস্টার অফিসের নকল নবীশদের পাশে কেউ নাই।
সিলেট নকল নবীশ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আনহার মিয়া সময় সংবাদ কে বলেন, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নকল নবীশরা এই মুহুর্তে যতটুকু অসহায় আর না খেয়ে আছে বাংলাদেশের কোন কর্মস্থলে এমন নাই বলে আমার মনে হয়।একজন নকল নবীশ এক পৃষ্ঠা দলিল লিখার পরে ২৪টাকা থেকে ২৫টাকা পায়, একজন নকল নবীশ সারাদিন ৮থেকে ১০ পৃষ্টা লিখতে পারে, এই অবস্থায় একজন নকল নবীশ ব্যাংকে টাকা জমা রাখবে বিপদে পড়লে খরছো করবে তা আমার বা দুনিয়ার কোন মানুষের বুজা আসবে না।আবার কারো কাছে বলতে পারছে না,চাইতে ও পারছে না।এই অবস্থায় বিশেষ করে নকল নবীশরা না খেয়ে থাকবে এটা স্বাভাবিক।
কোন ফান্ড বা সংস্থার মাধ্যমে কোন সহযোগিতা আসছে নাকি,জানতে চাইলে বলেন।
আমাদের একটা ফান্ড আছে,কিন্তু দিন আনে দিন খায় এই অবস্থায় কোন সদস্য ফান্ডে টাকা জমা রাখবে কি করে ।ফান্ডের একাউন্ট আছে তবে কোন টাকা জমা নেই।
জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে কি কোন সহযোগিতা আসছে এমন কথার উত্তরে বলেন
কেউ তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে নাই।তবে সিলেটের নাট্যকার বেলাল আহমেদ মুরাদ আমাদের সিলেট শহরের ভিতরে যারা নকল নবীশ আছেন তাদের কে সাহায্য করে আসছেন। এবং ত্রান সামগ্রী দিচ্ছেন।
এই মহামারীর সময়ে, সরকারের কাছে আকুল আবেদন অসহায় সিলেট সাবরেজিস্টার অফিসের অস্থায়ী নকল নবীশদের পাশে থেকে একটু সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
সিলেট সাবরেজিস্টার অফিসের অস্থায়ী নকল নবীশদের নিয়ে বেলাল আহমেদ মুরাদের টাইম লাইন থেকে নেওয়া স্টেটাস।
করোনাকালে মানবেতর জীবনযাপন করছে সাব_রেজিস্ট্রার অফিসের অস্থায়ী নকল নবীশ (রেকর্ডের বালাম লেখক)। ২৫০ বছর ধরেও চাকরি করে এখনো স্থায়ী হয়নি, তারা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছে আশায় আশায় দিন যাচ্ছিলো তাদের। নকল নবিশগন বালাম লিখলে প্রতি পাতা হিসাবে ২৪ টাকা করে বেতন হিসাবে পেতেন।
করোনাভাইরাস এর জন্য সাব রেজিস্টার অফিস বন্ধ থাকায় কোন আয় নেই তাদের। অনেকে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বিশেষ করে মহিলা নকল নবীশগন। খুব কষ্টে আছেন সবাই অনেকেই বলছেন না খেয়ে থাকা থেকে মৃত্যু ভালো।কঠিন এই পরিস্থিতিতে সাব রেজিস্ট্রার বা জেলা রেজিস্ট্রার কেউই তাদের পাশে নেই তাই আমি অনুরোধ করছি সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য।