ভিন্ন অভিজ্ঞতার তারাবি আদায় করলেন ৩৬০ আউলিয়ার সিলেটবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০২০, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
সাঈদ নোমান:
ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রথম রমজানের তারাবি শেষ করলেন ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্য ভূমি খ্যাত সিলেটবাসী।
প্রতি রমজানের ন্যায় এবার আকাশে রমজানের চাঁদ উঠেছে। এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ আদায় হয়েছে। তবে বছর বছর যে রমজান মাস হাজির হয় সিলেটের মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে, এবারের রমজানটি তার তুলনায় আলাদা। অন্য বছরে তারাবির নামাজে সব বয়সী মানুষের উপস্থিতি মসজিদ ভরে যেত। তারাবির নামাজে হাফিজ সাহেবদের পবিত্র কোরআন তেলায়াতে মসজিদ ছাড়াও পাশেপাশে এক ধর্মীয় আবহ বিরাজ করত।
কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। সিলেটে চলছে লকডাউন। মসজিদে নামাজে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারাবির নামাজে ১২ জনের বেশি মুসল্লি জমায়েত হতে পারেননি। তাই সিলেটের মসজিদগুলোতে প্রথম তারাবি আদায়ের পরিবেশ ছিলো একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতার।
অনেক মসজিদে কোরআন খতম ছাড়া সূরা তারাবি দিয়ে নামাজ আদায় করা হয়েছে।
অনেকে বাসায় সূরা তারাবি পড়েছেন। কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে দোয়া করেছেন এবং মসজিদে যেতে না পেরে অক্ষেপ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।
মাহদি রাফি নামে এক যুবক লিখেন, নামাজ ফরজ হওয়ার পর থেকে প্রতি রমজান মসজিদে গিয়ে তারাবি পড়ি। অন্য বছর তারাবিতে না গেলে বাসা থেকে চাপ শুরু হত। এবার বাসার সবাই মসজিদে না যেতে বলেছে। তাই বাসায় নামাজ আদায় করলাম। বাসার পাশে মসজিদ হওয়ায় প্রতি বছর হাফেজে কোরআনের তেলাওয়াতের মিষ্টি সুর শুনতাম। এবার মসজিদটা যেন নিরব হয়ে গেছে। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
সিলেট দরগা মহল্লার এক মুসল্লি লেখেছেন, শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদ পবিত্র রমজান মাসে মুসল্লি ছাড়া এমন নিরব থাকবে একসময় কল্পনাতীত ছিলো। আল্লাহ পরম ক্ষমতাবান। সবকিছু পার মালিক।
লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া