রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের খাদ্য সহায়তা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০২০, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার :
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশের মত মৌলভীবাজারের কমগঞ্জ উপজেলার ফার্মেসী, খাদ্য সামগ্রীর দোকান ব্যতীত শপিং মল, বিপনী বিতানসহ সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। মানুষজন ঘরে আটকা পড়েছেন। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষজন ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের দোকানীরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এমন কর্মহীন অসহায়দের খোঁজে বের করে রাতের আঁধারে পুলিশের পক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।
কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় কর্মহীন ৫ শতাধিক পরিবারে রাতে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর এর নেতৃত্বে রয়েছেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান। সরকারি খাদ্য সহায়তা, জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পুলিশি উদ্যোগ একটি ব্যতিক্রমী। পুলিশ আগে খোঁজে বের করে কারা কর্মহীন ও খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছে না এমন পরিবার খোঁজে তালিকা তৈরী করে চাল, ডাল, আলু, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
গত ১৮ এপ্রিল কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামে কর্মহীন সিএনজি অটো চালক ও দরিদ্র ১৫ পরিবারেরর মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়। সোমবার (২০ এপ্রিল) রাতে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আদমপুর ইউনয়িনের নঈনারপার বাজারে কর্মহীন ১৬ জন চা দোকানী ও ৭ জন সেলুনকর্মীদের বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, পুলিশি নিজ উদ্যোগে তাদের এ কার্যক্রম শুরু করেন। এখন অনেক ব্যক্তিও পুলিশি কার্যক্রমে এগিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত কমলগঞ্জ ৫১০ পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেওয়া হয়। যতদিন পর্যন্ত এ দুর্যোাগ থাকবে ততদিন পর্যন্ত পুলিশ খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সব সময় থানার পিকআপে কিছু খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট রক্ষিত থাকে। রাস্তায় দর্দ্রি, অসহায় ও ভিক্ষুক পেলে তখন তাদেরকে খাদ্যের প্যাকেট দেওয়া হয়।