সিলেটে কোথাও মিলছে না সাধারণ রোগের কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ এপ্রিল ২০২০, ৮:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে করোনাভাইরাসের কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না সাধারণ রোগে আক্রান্ত রোগীরাও। প্রাইভেট হাসপাতাল তো বটেই দায় সাড়া চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে সরকারি হাসপাতালেও। পর্যাপ্ত সুরক্ষা পোশাক না থাকায়, জ্বর-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টের রোগীদের এড়িয়ে চলছেন চিকিৎসকরা।
কথা হয় সিলেট মহানগরের লালদিঘির পাড়ের এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সাথে। তিনি কিডনি রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। গত বুধবার ডায়ালাইসিস করার পর ফুসফুসে পানি জমে যায়। এরপর কিছুটা শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তার। যে প্রাইভেট হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করিয়েছিলেন সেখানে যান ফলোআপ চিকিৎসার জন্য। কিন্তু করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাকে চিকিৎসা দেয়নি ওই হাসপাতাল। এরপর যোগাযোগ করেন আরও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। কোনোটিতেই মেলেনি চিকিৎসা। বাধ্য হয়ে তিনি সহযোগিতা চান সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির। তিনি চেষ্টা করেও ওই রোগীকে ওসমানী হাসপাতাল ও শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেননি। করোনা আতঙ্কে কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিকে ঠাঁই হয়নি ওই নারীর। শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাসায়ই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাকে। শুধু ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী নয়, সিলেটে এ রকম অসংখ্য রোগী পড়েছেন চিকিৎসা বিড়ম্বনায়।
সিনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত পারসোনাল প্রোটেকটিভ ই্যকুইপমেন্ট-পিপিই না থাকায়, জ্বর-কাশি কিংবা শ্বাসকষ্টের রোগীদের এড়িয়ে চলছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। একই সাথে এই আচরণকে অনাকাঙ্ক্ষিতও বলছেন তারা।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ ভাগ কমে গেলেও কর্তৃপক্ষের দাবি, সব ধরনের রোগীকেই তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সব ধরনের রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। জ্বর সর্দি ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য আলাদা কর্নার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে নিরাপত্তার কারণে ছোটখাটো অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে না এসে টেলিফোনে চিকিৎসকের কাছ থেকে সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
হাসপাতাল গুলোতে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।