করোনাভাইরাস: হবিগঞ্জের অনেক শিল্প কারখানা এখনো চালু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা লকডাউনসহ সারা দেশে সবকিছু বন্ধ থাকলেও হবিগঞ্জের শিল্প এলাকার অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এখনও সক্রিয় রয়েছে। চাকরি বাচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে কাজ করছেন শ্রমিকরা। একই সাথে জেলার চা বাগানগুলোও চালু থাকায় হুমকির নিয়ে কাজ কাজ করছেন শ্রমিকরা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন গাদাগাদি করে নিজস্ব বাস, লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে কারখানাতে কর্মে যাচ্ছেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলার যমুনা ইন্ডাট্রিয়াল পার্ক, স্টার ফোরসেলিন, বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস, চারু সিরামিকস, আর কে কয়েল ফ্যাক্টরি, স্টার সিরামিক্স, পাইওনির ডেনিমস লি. এবং চৌমুহনীতে কোয়ালিটি ইন্টার এগ্রোসহ অধিকাংশ ফ্যাক্টরি থেকে কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার করে দলের দল শ্রমিকদের বের হতে ও কর্মে যোগ দিতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা জানান, চাকরি হারানোর ভয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসারদের নির্দেশে কর্মে যোগ দিতে হচ্ছে। শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারই রয়েছে।
স্টার ফরসোলিনের এডমিন ম্যানেজার সৈয়দ শাহাদত হোসেন জানান, এখনো প্রশাসনিকভাবে কম্পানি বন্ধের কোনো নির্দেশনা পাইনি। প্রতিটি শ্রমিকের পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে জেলার সবছেয়ে বেশী শ্রমিক নির্ভর হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রাণ আরএফএল এর ১৯ হাজার শ্রমিককে বুধবার থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী এলাকার আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করবেন।
প্রাণ এর জেনারেল ম্যানেজার হাসান মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনের জন্য কম্পানির আবাসিক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আড়াই হাজার শ্রমিক কর্মে নিয়োজিত থাকবেন। অন্যদেরকে স্ববেতনে ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটিজনিত কারণে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হবে না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান জানান, কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে পরিচালনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে যদি নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্য তথা করোনা ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের কাজ করতে হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।