পদক্ষেপগুলো নিষ্ঠুর মনে হলেও, সিলেটকে বাঁচাতে তা করতে হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১১:১২ অপরাহ্ণ
ইকবাল মাহমুদ:
সিলেটে করোনা ভাইরাস ধরা পড়া ব্যক্তি একজন প্র্যাকটিসিং ডাক্তার। সরকারী বড় হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। একটি বড় বেসরকারী হাসপাতালে তার চেম্বার। দুই জায়গায়ই তিনি ১৫ দিন আগ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। নামকরা ডাক্তার তিনি। চেম্বারে বহু রোগি দেখেছেন প্রতিদিন। সেই বেসরকারী হাসপাতালে প্রতিদিন স্রোতের মত মানুষ যায় চিকিৎসা নিতে। কত মানুষ তার সংস্পর্শে এসেছিলো, তার হিসেব মেলানো কঠিন। নগরীর অভিজাত এলাকায় বাসা। প্রতিদিন সকালে জগিং করতেন, জগিং এর সময় তার সঙ্গীও হয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে সংক্রমন ছড়ায়নি তো? পরিবারের সদস্যদের এরই মধ্যে লকডাউন করা হচ্ছে। তাতেই কি স্বস্তি? আমার মনে হয় একটা ডেস্পারেট পদক্ষেপ নিতে হবে। ওই এলাকাটা পুরোটাই লকডাউন করে দিন, তার চেম্বারসহ সাম্প্রতিককালে তার বিচরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে পুরাটাই লকডাউন করুন। তার সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের নাম এর তালিকা করে দ্রুততর সময়ের মধ্যে সবার কভিড ১৯ টেস্ট করার ব্যবস্থা নিন।
রাস্তাঘাটে মানুষের বিচরণ শুণ্যের কোঠায় নিয়ে আসুন। শবেবরাত উপলক্ষে এখনও মসজিদে মসজিদে মিলাদ হচ্ছে, বন্ধ করুন এখনই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যা যা করা দরকার সব করুন।
প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো একটু নিষ্ঠুর মনে হলেও সিলেটকে বাঁচাতে তা করতে হবে। সবাই সচেতন হোন, সংকল্পবদ্ধ হোন সংক্রমণটি যাতে এই একজনের মধ্যেই আমরা সীমাবদ্ধ করে ফেলতে পারি।
লেখক: ইকবাল মাহমুদ,
একাত্তর টিভি- সিলেট ব্যুরো চিফ।